Sylhet Today 24 PRINT

আকবর বিদেশে পালিয়ে গেলেও ফিরিয়ে আনা হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ২০ অক্টোবর, ২০২০

পররষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রায়হান হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পুলিশের এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া (সাময়িক বরখাস্ত) বিদেশে পালিয়ে গেলেও তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর আখালিয়ায় রায়হান আহমদের বাড়িতে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমনটি বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, আমার বিশ্বাস আকবর এখনও দেশের বাইরে যায়নি। কারণ সীমান্তগুলোকে আমরা সাথেসাথে সতর্ক করে দিয়েছি। তবে আকবর বিদেশে পালিয়ে গেলেও তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এরআগে সিলেটের রাজন হত্যার আসামিকে সৌদি আরব থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিলো।

মঙ্গলবার দুপুরে রায়গানের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের স্বান্তনা দেন সিলেট-১ আসনের এই সাংসদ। এসময় রায়হান হত্যার ন্যায়বিচারেরও আশ্বাস দেন তিনি।

পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন, ড. মোমেন।

এসময় তিনি এসআই আকবরকে পুলিশের জন্য লজ্জ্বা উল্লেখ করে বলেন, এরকম দুএকজন কুলাঙ্গারের কারণে পুলিশ বাহিনীও লজ্জ্বিত। পুলিশের কেউ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে না। সুৃষ্ঠ তদন্ত চলছে।

মন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় জড়িত সদস্যদের বাঁচাতে কোনো ধরণের অপচেষ্টা করেনি পুলিশ। আমাদের পুলিশ খুবই দক্ষ। অনেক বড় বড় অপরাধীদের গেপ্দতারেও তারা সক্ষম হয়েছে। এই ঘটনায় একজন ছাড়া বাকী সবাই নজরদারিতে আছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের সবাই এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চান। ফলে রায়হানের সুষ্ঠ বিচার হবে, এব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এই ধরণের বাজে কাজ যেনো সিলেটে আরও কোথাও না ঘটে এরকম দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন



প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর রাতে নগরীর আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদ (২৪) কে ধরে নিয়ে আসে বন্দরবাজার থানা পুলিশ। ওই  রাতে ফাঁড়িতে তার ওপর নির্যাতন চালায় পুলিশ এবং তাকে ছেড়ে দিতে টাকা দাবি করে। ভোরে অপরিচিত একটি মোবাইল থেকে রায়হানের ফোন পায় তার পরিবার। তাতে ফাঁড়ি থেকে তাকে ছেড়ে দিতে টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে জানান রায়হান।

নির্যাতনের পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ১১ অক্টোবর সকালে রায়হান আহমদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যান তিনি।

পুলিশ দাবি করে, রায়হানকে ছিনতাইকারী সন্দেহ করে জনতা গণপিটুনি দেয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে সিটি করপোরেশনের ফুটেজে এর কোনো প্রমাণ মেলেনি।

এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। মামলার পর এর তদন্তভার দেয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.