Sylhet Today 24 PRINT

হবিগঞ্জে কলা চেয়ে না পেয়ে শতাধিক ফলজ গাছ কর্তন রেল কর্মকর্তার!

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২১ অক্টোবর, ২০২০

কলা খেতে চেয়ে না পেয়ে বাগানে থাকা শতাধিক ফলজ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে রেলওয়ে শায়েস্তাগঞ্জ জংশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুরে রেলওয়ে ক্রসিংয়ের আশেপাশে সৌন্দর্যের জন্য বেশ কিছু কলা গাছ, পেঁপে ও সিম গাছ রোপণ করেছিলেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর যুগান্তরের

সেখানে প্রায় একশ কলা গাছ, ১৬টি পেঁপে গাছ ও কিছু সিম গাছ লাগিয়েছিলেন স্থানীয় সুরাবই গ্রামের ফুরুক মিয়াসহ অন্যরা।

মাস দেড়েক আগে যখন কলা গাছগুলোতে কলার থোড় আসে তখনই শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী (পথ) সাইফুল ইসলাম এসে জানান, তার স্ত্রী ও ছেলে আসবে মাস খানেক পরে; তারা আসার পর কলা পাকলে যেন তাকে দিয়ে আসা হয়। কৃষকরাও এ ব্যাপারে সম্মতি জানান।

ইতিমধ্যে অনেকগুলো কলা পরিপক্ব হয়ে যায়। কয়েকদিন আগে রাতে কে বা কারা একটি কলার কাধি চুরি করে নিয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার সকালে সাইফুল ইসলাম এসে ওই কলা দেখতে না পেয়ে ক্ষিপ্ত হন রেললাইনের গেটম্যানদের উপর। তাদেরকে রেখে কলা কিভাবে চুরি হল। এই বলে তিনি তাদেরকে বদলি করার হুমকি দেন।

এক পর্যায়ে তার সঙ্গের দুই কর্মচারীকে নিয়ে প্রায় শতাধিক কলা গাছ, ১৬টি ফলজ পেঁপে গাছ ও সিম গাছ দা দিয়ে কেটে সাবাড় করে দেন। এ ব্যাপারে ফুরুক মিয়াসহ অনেকেই আকুতি মিনতি করেও উনাকে আটকাতে পারেননি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. মুখলিছ মিয়া বলেন, রেলের পাশে গাছগুলো সৌন্দর্য রক্ষা করে। এভাবে দা চালিয়ে ফলজ গাছগুলো কাটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে শায়েস্তাগঞ্জ জংশনের ঊর্ধ্বতন উপ প্রকৌশলী (পথ) সাইফুল ইসলাম বলেন, কেউ ফলজ গাছ চাষ করতে চাইলে নিজের জায়গাতে করবে, রেলের জায়গায় কেন গাছ লাগাবে। রেললাইনের গেটম্যানরা গাছ কাটার জন্য বললেও গাছ কাটেনি, এতে করে রেললাইনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।

আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই গাছগুলো কেটেছি। আর আমি কলা খেতে চেয়েছিলাম কথাটি মিথ্যা; আমি কি কলা কিনে খেতে পারব না। এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.