Sylhet Today 24 PRINT

‘টাকা পাওয়ার মিথ্যে দাবিতে অনশন করে হয়রানি’

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ সৈয়দ সাব্বির জামিল নামে প্রবাসীর

কুলাউড়া প্রতিনিধি |  ২৮ অক্টোবর, ২০২০

‘টাকা পাওয়ার মিথ্যে দাবিতে অনশন করে আমিনুল ইসলাম রিয়াদ আমার পরিবারকে হয়রানি করছেন’ বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌর শহরের বাসিন্দা সৈয়দ সাব্বির জামিল নামে প্রবাসী।

বুধবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে পৌর শহরের উত্তরবাজারস্থ একটি রেস্টুরেন্টে কুলাউড়া ও জেলায় কর্মরত প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন এমন অভিযোগ করেন সাব্বির জামিল।

সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্য সাব্বির জামিল বলেন, আমার বড় ভাই সৈয়দ মোবাশ্বির আলী পংকী দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী, মেজো ভাই মুছাব্বির আলী কাজল ফ্রান্স প্রবাসী এবং আমি সৈয়দ সাব্বির জামিল একজন প্রবাসী। গত ১৯ অক্টোবর সোমবার দুপুরে আমার পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডে নিজ বাসার সম্মুখে আমাদের পরিবারকে হয়রানি ও সামাজিক সম্মান ক্ষুণ্ণ করার হীন উদ্দেশ্যে কথিত ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম রিয়াদ তাঁর মা বোনসহ ভাড়া করা লোকজন নিয়ে আমার কাছে টাকা পাওনার মিথ্যা দাবিতে নাটকীয় অনশন করেন। আমি তখন চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ছিলাম। এ সময় বাসায় আমার অসুস্থ পিতা-মাতা ও মামাতো ভাই নাজমুল ছাড়া কেউ ছিলেন না। এই সুযোগে টাকার দাবিতে সে মিথ্যা, বানোয়াট ও নাটকীয় অনশনে বসে আমার বাসার সামনে। অনশনে বসে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে বলতে থাকে আমার কাছে জমি কেনা বাবত ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা আমাকে দিয়েছে। অথচ ব্যবসায়ী রিয়াদের সাথে জমি কেনাবেচা নিয়ে আমার কোন লেনদেন নেই। এরপর এই মিথ্যা ফেসবুক লাইভ প্রচার করার কারণে দেশ-বিদেশে সামাজিকভাবে আমাদের পরিবারের মান-সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ সময় রিয়াদের লোকজন নাটকীয়ভাবে আমার বাসার ভেতর ঢুকে আমার অসুস্থ মা-বাবাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বিছানা থেকে তুলে নিয়ে আসে এবং বাসার সামনের গেইটের সামনে এনে অপমান করে ফেসবুক লাইভ করে। শুধু তাই নয় রিয়াদ বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে আসছে।

তিনি আরও বলেন, আমিনুল ইসলাম রিয়াদ আমাকে ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা ধার দেন। পরবর্তীতে সেই টাকা থেকে ৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা সিটি ব্যাংকের ক্যাশ বাই কোডের মাধ্যমে পরিশোধ করি। বর্তমানে সে আমার কাছে ৪ লাখ টাকা পায়। আমি রিয়াদের এক বন্ধু এমদাদ হকের ব্যবসায়ী লেনদেনের টাকা পাওনা আছে। তাই সেই ৪ লাখ টাকা টাকা এমদাদ রিয়াদকে পরিশোধ করার কথা। এমদাদ ইতোমধ্যে তাকে এক লাখ টাকা পরিশোধ করে। বাকি টাকা এমদাদ দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমি তা পরিশোধ করবো। ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণকালে টাকার বিপরীতে আমি ৩টি চেক প্রদান করি। কিন্তু সে আমার চেক ফেরত না দিয়ে টালবাহানা করছে। এছাড়া আমার বাসার জমি দখলের হুমকি দিচ্ছে। এতে আমার পরিবার চরম আতংকে ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এ ব্যাপারে আমি কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগও করেছি। সংবাদ সম্মেলনকালে প্রবাসী সৈয়দ সাব্বির জামিলের মামাতো ভাই নাজমুল ইসলাম ও ফুফাতো ভাই নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে আমিনুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, আমি তার কাছে টাকা পাই। দীর্ঘদিন থেকে তাকে খোঁজেও পাচ্ছি না। অনশন করার পর স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজলসহ ৫ জন ব্যক্তির সমন্বয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন। আগামী ৩০ অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৯ অক্টোবর ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওনা দাবি করে ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম রিয়াদ ও তার মা-বোনসহ পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রবাসী সৈয়দ সাব্বির জামিলের বাসার প্রধান ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে রিয়াদ ও তার মা-বোন অনশন বন্ধ করেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.