Sylhet Today 24 PRINT

প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়ে বিরোধে মোল্লাপুর ইউপি অফিস বন্ধ ঘোষণা

বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা  |  ২৬ অক্টোবর, ২০১৫

বিয়ানীবাজার উপজেলার মোল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কার্যালয় তিন দিন বন্ধ রাখার নিদের্শ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়ায় অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমবার থেকে তিন দিন চেয়ারম্যানের কার্যালয় বন্ধ রাখার জন্য ইউপি সচিবকে এ নিদের্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৭ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যলয়ের সকল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে ভোটাভোটির মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যানর নির্বাচন করা হয়। এ সময় পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ অদুদ রুকন উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরের মার্চ মাসে চেয়ারম্যান রুকন দেশ ত্যাগ করলে উপজেলা নির্বাহী অনুমোদন দেয়া প্যানেল চেয়ারম্যান-১ কামরুল হাসান পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামরুল হাসান আমেরিকা যাওয়ায় আগে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়।

কামরুল দায়িত্বশীল থাকাবস্থায় পরিষদের সদস্যদের মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান-২ ফখরুল ইসলাম ফখরের উপর অনাস্থা এনে সোহেল আহমদকে প্যানেল চেয়ারম্যান-২ করা হয়। কামরুল হাসানের গঠিত প্যানেলটি অনুমোদনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠালে বিষয়টি নির্বাহী কর্মকর্তা অনুমোদন করেননি।

এ অবস্থায় গত ২০ অক্টোবর উপজেলা প্রশাসনকে পাশ কাটিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামরুল হাসান পরিষদের কিছু সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে সোহেল আহমদের কাছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। ২১ অক্টোবর সোহেল আহমদচেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এসে বসলে মোল্লাপুর ইউনিয়ন জুড়ে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

 
গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে মোল্লাপুর ইউনিয়ন কার্যালয়ে গিয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষটি বন্ধ দেখা যায়। সচিব সাইফুদ্দৌলা মান্না নিজ কার্যালয়ে বসে কাজ করছেন।
 
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সোহেল আহমদ বলেন, ইউএনও স্যারের মৌখিক নির্দেশে অফিসের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এ নিদের্শ আসার আগে আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে একদিন (২১ অক্টোবর) বসেছি।

তিনি জানান, রুকন চেয়ারম্যান দেশে থাকাবস্থায় প্যানেল চেয়ারম্যান গঠিত হয়। তিনি দেশ ত্যাগ করলে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ কামরুল হাসান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। কামরুল হাসান আমেরিকা যাওয়ার আগে পরিষদের সদস্যরা বৈঠক করে ফখরুল ইসলামের উপস্থিতিতে আমাকে প্যানেল চেয়ারম্যান-২ করেন। এ সময় প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও ৩ বহাল রাখেন। লেবু বেগম পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-৩।


নিজেকে বৈধ প্যানেল চেয়ারম্যান-২ দাবি করে ফখরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের বাইরের একটি মহলের ষড়যন্ত্র। যে প্রক্রিয়ায় প্রথম প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন মেম্বার কামরুল ইসলাম। সেই প্রক্রিয়ায় আমি দ্বিতীয় প্যানেল  চেয়ারম্যান।

কিন্তু কামরুল মেম্বার স্বপরিবারে আমেরিকায় যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চত হলে ২০১৩ সালের অনুমোদিত প্যানেল চেয়ারম্যান তালিকাটি রাতারাতি বানচাল করতে ওই চক্র উঠে পড়ে লাগে। সোহেল মেম্বারকে তারাই দ্বিতীয় প্যানেল চেয়ারম্যান করতে প্রশাসনে এবং এলাকায় বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং আমার নামে কুৎসা রটাচ্ছে। আমি আইনের বিধান অনুয়ায়ি ইউপি কার্যক্রম চলার পক্ষে।


এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার অফিস সহকারি ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘স্যার’ সিলেটে একটি মিটিং গেছেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.