Sylhet Today 24 PRINT

কমলগঞ্জে মাটির ঘরের দেয়াল ধ্বসে সর্বহারা দুই বিধবা

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি |  ২৬ নভেম্বর, ২০২০

দিনমজুর মো. রাজা মিয়া ১১ বছর আগে মারা গেছেন। তার দুই বিধবা বউয়ের তিন ছেলে দুই মেয়ে। মৃত রাজা মিয়ার বড় বউ জাহানারা বেগম দর্জির কাজ করেন ও ছোট বউ হালিমা বেগম গৃহিণী। তাদের সব সন্তানই বেকার। সেলাই মেশিনে এলাকার মানুষের কাপড় তৈরি করেই সংসার চলছে কোনরকম। স্বামীর রেখে যাওয়া মাটির দেয়ালের একটি জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করে আসছিলেন এই দুই বিধবা নারী। তাদের জীবন চলে পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছে হাত পেতে নেয়া চাল-ডালে। শীতের এইদিনে মাটির দেয়ালের বাড়িটি ধসে পড়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌর এলাকার বড়গাছ গ্রামে।

আলাপকালে দুই বিধবা নারী বলেন, দিনমজুর স্বামী ১১ বছর আগে মারা গেছেন। কিন্তু তারা হতদরিদ্র। এমতাবস্থায় পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছে হাত পেতে নেয়া চাল-ডালে খেয়ে না খেয়ে জীবন চলে তাদের। আর সরকারের দেয়া বিধবা ভাতার টাকায় চলে তাদের ওষুধ খরচ। স্বামীর রেখে যাওয়া মাটির দেয়ালের জরাজীর্ণ বাড়িটিই ছিল তাদের মাথা গোঁজার ঠাই। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করে মাটির বাড়িটির দেয়াল ধসে পড়ে। বরাবরের মতো ধসে পড়ার দিনেও তারা ওই বাড়িতেই শুয়েছিলেন। ধসে পড়া মাটির ঘরে কিভাবে থাকবেন জানেন না তারা। একটি ঘরের জন্য অনেকবার আবেদন করেও কপালে তা জুটেনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা বসবাস উপযোগী ঘরের দাবি তাদের।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল হোসেন বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ঘর দেখে এসেছি। তাদের ঘরের জন্য অনেকবার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে আবেদন করিয়েছি। কিন্তু কোন ব্যবস্থা হয়নি।

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমেদ বলেন, ‘বিধবা নারীদের দেয়াল ভাঙা ঘর পরিদর্শন করে এসেছি। সরকারিভাবে যাতে তারা ঘর পায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.