Sylhet Today 24 PRINT

বাংলা একাডেমি পুরষ্কার পেলেন সুরেশরঞ্জন বসাক

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ২৫ জানুয়ারী, ২০২১

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) ২০২০ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এবার অনুবাদ সাহিত্যে পুরষ্কার পেয়েছেন সুরেশ রঞ্জন বসাক। অধ্যাপক সুরেশ রঞ্জন বসাক সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার ও স্কুল অব হিউমেনিটিজের ডিন হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

প্রায় চারদশক ধরে সাহিত্য চর্চা করছেন সুরেশ রঞ্জন। বিশ্বের নামকরা সাহিত্যিকদের কবিতা-গল্প-উপন্যাস অনুবাদের পাশাপাশি তার রয়েছে একাধিক মৌলিক বই।

বাংলা একাডেমির পুরষ্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় সুরেশ রঞ্জন বাসক সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, বাংলা একাডেমির মতো একটি প্রতিষ্ঠানের পুরষ্কার প্রাপ্তি যে কোনো বিবেচনায়ই সম্মানীয়। এটা একধরণের স্বীকৃতিও।

তিনি বলেন, কোনো লেখকই স্বীকৃতি বা সম্মাননার জন্য লেখেন না। মনের আনন্দে লেখেন। কিন্তু স্বীকৃতি বা সম্মাননা পেলে সকলেরই ভালো লাগে। এটি বাড়তি পাওনার মতো। এই বাড়তি প্রাপ্তিতে আমারও ভালো লেগেছে।

সুরেশ রঞ্জন বলেন, আমি প্রায় চারদশক ধরে সাহিত্যচর্চা করছি। এই সময়ে মৌলিক সাহিত্যের পাশাপাশি বিশ্ব সাহিত্যের বড় বড় কীর্তিগুলো বাঙালি পাঠকদের জন্য অনুবাদ করে চলছি। আমার প্রকাশিত ২৫টি বইয়ের মধ্যে ২১ টি বই-ই অনুবাদের। এরমধ্যে কবিতার বই-ই বেশি।

ঢাকার বাইরে বসে সাহিত্যচর্চা করে এমন স্বীকৃতি প্রসঙ্গে সুরেশ রঞ্জন বসাক বলেন, আমাদের সবকিছু যদিও ঢাকাকেন্দ্রিক কিন্তু সাহিত্য চর্চার জন্য কেন্দ্র বলে কিছু নেই। কাজ যদি মূল্যবান হয়, তাহলে যে জায়গায় বসেই করা হোক না কেনো তার স্বীকৃতি মিলবেই। হয়তো কিছুটা দেরী হবে।

তিনি বলেন, হাসান আজিজুল হক তো ঢাকায় থাকেন না। হাসান আজিজুল হক হওয়ার জন্য কারো ঢাকায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমিও কখনো ঢাকায় থাকিনি। সিলেটেই থাকি।

চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া সুরেশ রঞ্জন বসাক মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেওয়ার আগে সিলেট ক্যাডেট কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক ছিলেন।

তিনি গ্যাবিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, ম্যাক্সিম গোর্কি, কাহলিল জিবরানসহ বিশ্বের অনেক নামকরা সাহিত্যিকের বই বাংলা অনুবাদ করেছেন। বিশ শতকের বিশ্ব কবিতা, ১০০টি ইংরেজি কবিতা, ৭০০ বছরের ইংরেজি প্রেমের কবিতাসহ বিশ্বের বড় বড় কবিদের কবিতারও অনুবাদ করেছেন তিনি।

সুরেশ রঞ্জন বসাক ছাড়াও এবার বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি-লেখকেরা হলেন কবিতায় মুহাম্মদ সামাদ, কথাসাহিত্যে ইমতিয়ার শামীম, প্রবন্ধ/গবেষণায় বেগম আকতার কামাল, নাটকে রবিউল আলম, শিশুসাহিত্যে আনজীর লিটন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় সাহিদা বেগম, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞানে অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনিতে ফেরদৌসী মজুমদার, ফোকলোর সাহিত্যে মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান।

সোমবার সংবাদ সম্মেলনে পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি–লেখকদের নাম ঘোষণা করে একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি অথবা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন। এ পুরস্কারের অর্থমূল্য তিন লাখ টাকা।’

উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে প্রবর্তিত হয়ে এ পর্যন্ত তিন শতাধিক লেখক এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান, কবি পিয়াস মজিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.