Sylhet Today 24 PRINT

২০ দিনে যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে এসেছেন ৫৪৪ যাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ২৬ জানুয়ারী, ২০২১

যুক্তরাজ্যে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বিশ্বের সঙ্গে দেশটির যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। সেখানে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় এ সতর্কতা নেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে লন্ডনের আকাশপথে যোগাযোগ এখনও রয়েছে। গতকাল সোমবার বিলেতের ফ্লাইট এসেছে সিলেটে। এতে সিলেটের ১৪৩ যাত্রী এসেছেন। এ নিয়ে ৪ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত গত ২০ দিনে সিলেটে আসা যুক্তরাজ্য প্রবাসীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৪৪ জনে।

যাদের মধ্যে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী নিজ খরচে কোয়ারেন্টিন পালন শেষে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৭২ জন প্রবাসী। আর বর্তমানে সরকার নির্ধারিত সিলেটের বিভিন্ন হোটেলে কোয়ারেন্টিনরত অবস্থায় রয়েছে আরও ১৪৩ জন যুক্তরাজ্য প্রবাসী।

বিজ্ঞাপন

এদিকে গত ২১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নং বিজি-২০২’তে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে এসে নামা সিলেটের ১৫৭ প্রবাসী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষ হয় গত রোববার। তবে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিলেত ফেরতদের কোয়ারেন্টিন পালন শেষে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে নেগেটিভ সনদ নিয়ে বাড়ি ফিরিতে হয়।
সেখানে লন্ডন ফেরত ২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। তবে ১২৯ জন প্রবাসীর করোনা নেগেটিভ আসে।

এর আগে আগে বিলেত ফেরতদের মধ্যে আরও এক যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। এ নিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ২৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে।

করোনা আক্রান্ত এসব যাত্রীদের ১৫ জন হোটেল নূরজাহানে, ৫ জন হোটেল ব্রিটানিয়ায়, ৪ জন হোটেল হলিগেইটে, ৩ জন হোটেল লা রোজে এবং ১ জন হোটেল হলি সাইডে অবস্থান করছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এ তথ্য নিশ্চিত করেন, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের।

এদিকে যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরণ স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বিভিন্ন দেশ তাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে। তবে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট এখনও অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহে দুদিন যুক্তরাজ্যর লন্ডন থেকে সিলেটে আসে বিমানের দুটি ফ্লাইট।

যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের নতুন এই স্ট্রেইনটি আগের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি গতিতে ছড়ায়। ফলে এটি অনেক দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। ভাইরাসটি নিজ দেশে যাতে না ঢোকে, সেই চেষ্টাতেই এখন ব্যস্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। অথচ বাংলাদেশে তেমন কোনো তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়নি।

সংশ্লিষ্ট ও সচেতন মহল বলছে, করোনা মোকাবেলায় কোনো ছাড় কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না। আর করোনার নামে রাজনীতি ও ব্যবসা নিন্দনীয়। প্রবাসীরা সুখে-দুঃখে নিজ দেশে না এসে যাবেন কোথায়? তবে তাদের এই চলাচলকে শতভাগ নিরাপদ রাখতেই হবে। আবেগে ছাড় দিলেই করুণ পরিস্থিতির ঝুঁকিতে পড়তে হবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.