Sylhet Today 24 PRINT

এবার ছাতক সিমেন্ট কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সঙ্কটে পড়েছে ছাতক সিমেন্ট কারখানা। উৎপাদন বন্ধ থাকা এই কারাখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে জালালাবাদ গ্যাস। প্রায় ৩১ কোটি টাকা বিল অনাদায়ে গ্যাস সংযোগ সোমবার বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।

চুনাপাথর সঙ্কটের কারণে সপ্তাহ ধরে সরকারি মালিকানাধীন দেশের প্রাচীন এই সারকারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

জালালাবাদ গ্যাস সূত্রে জানা যায়, ছাতক সিমেন্ট কারখানার কাছে বকেয়া গ্যাস বিল বাবদ প্রায় ৩১ কোটি টাকা পাওয়া রয়েছে। বকেয়া বিল পরিশোধের জন্যে সিমেন্ট কারখানা কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার লিখিত তাগিদ দেয়। একিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধ করেনি। ফলে সোমবার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।

উৎপাদন বন্ধ থাকলেও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় দুর্ভোগ পড়েছেন কারখানার আবাসিক গ্রাহকরা। শ্রমিকদের অভিযোগ, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও দুর্নীতির কারণে এমন পরিস্থির সৃষ্টি হয়েছে।

গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের তথ্য নিশ্চিত করে ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এফএম বারী বলেন, বকেয়া বিল পরিশোধ করে দুএকদিনের মধ্যে গ্যাস সংযোগ চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এক সপ্তাহ ধরে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকার বিষয়ে এফএম বারী জানান, চুনাপাথর সংকটের কারনেই বর্তমানে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

এদিকে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। বেকার হয়ে পড়েছেন কারখানার অস্থায়ী শতাধিক শ্রমিক।

১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কারখানাটি বিসিআইসির একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিলো। দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে কারখানাটি ধীরে ধীরে একটি লোকসানি প্রতিষ্টানে রূপ নেয়। একাধিকবার ব্যালেন্সিং মর্ডানাইজেশন রেনোভেশন এন্ড এক্সপেনশননের (বিএমআরই) মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে কারখানাটি উৎপাদন সচল রাখা হয়। গত এক বছর ধরে কারখানায় একটি কিলনের মাধ্যমে উৎপাদন সচল রাখা হয়। একটি কিলন কয়েক বছর আগে থেকেই বিকল হয়ে পড়ে। চালু থাকা কিলনটি প্রায়ই বন্ধ হয়ে মাঝেমধ্যে উৎপাদন পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.