বড়লেখা প্রতিনিধি | ১১ নভেম্বর, ২০১৫
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মঙ্গলবার রাতে লাকি বেগম (২২) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। স্বামীর বাড়ির লোকজন আত্মহত্যার দাবী করলেও নিহতের পিতৃপক্ষের অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরের অমানবিক নির্যাতনে তার মৃত্যু ঘটেছে। নিহত গৃহবধু লাকি বেগমের চার মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টায় পুলিশ স্বামীর বাড়ি থেকে খাটে শুয়ানো অবস্থায় লাকির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুজানগর ইউপির কাচলিপার গ্রামের ময়না মিয়ার মেয়ে লাকি বেগমের সাথে দুই বছর পূর্বে দাসেরবাজার ইউপির ধলিপার গ্রামের মইন উদ্দিনের ছেলে মায়াজ উদ্দিনের বিয়ে হয়। মঙ্গলবার রাতে লাকি বেগমের স্বামীর বাড়ির জনৈক প্রতিবেশী বাবার বাড়িতে লাকিকে পিটিয়ে হত্যার খবর দিলে বড়ভাই সেলিম উদ্দিন ও আজিম উদ্দিন ছুটে গিয়ে দখতে পান ঘরের মেজেতে লাকির লাশ শুয়ানো রয়েছে। স্বামীর বাড়ির লোকজন জানান ঘরের তীরের সাথে ঝুলে সে আত্মহত্যা করেছে। নিহত লাকির ভাই আজিম উদ্দিন অভিযোগ করেন ৪ মাসের শিশু সন্তান রেখে তার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। স্বামী ও শ্বশুর নির্যাতন করে তার বোনকে হত্যা করেছে। নিহত লাকি বেগমের ডান হাতের হাড় ভাঙ্গা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি স্বজনের।
বড়লেখা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মেহেদি হাসান শুয়া অবস্থায় নিহত লাকি বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে জানা যাবে।