Sylhet Today 24 PRINT

পানির অবৈধ সংযোগ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে সিসিক

নিউজ ডেস্ক |  ১১ নভেম্বর, ২০১৫

পানির অবৈধ সংযোগ গ্রহণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)।

মোবাইল কোর্টের এই অভিযানকালে যাদের অবৈধ সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা আদায়সহ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও অভিযানকালে যাদের বিল বকেয়া আছে তাদেরকেও বিল পরিশোধের জন্য সময়সীমা বেধে দেওয়া হচ্ছে। 

বুধবার (১১ নভেম্বর) সিলেট মহানগরীর শাহী ঈদগাহ, গোপালটিলা ও সোনারপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শরীফুজ্জামান।

বেলা ১১ টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত কয়েক শতাধিক বাসা বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পানি শাখার ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কয়েকটি টিমে বিভক্ত হয়ে এই অভিযানে অংশ নেন।

বুধবার অভিযানকালে শাহী ঈদগাহ, গোপালটিলা ও সোনারপাড়া, এলাকায় ৫টি বাসায় অবৈধ পানির সংযোগ খুঁজে পায় সিটি কর্পোরেশনের টিম। এছাড়াও একাধিক বাসায় বছরের পর বছর থেকে বিল বকেয়া থাকলেও তা পরিশোধ করা হচ্ছে না বলে নিশ্চিত হয় সিটি কর্পোরেশনের টিম। অভিযানকালে অনেক বাসাবাড়ির মালিকরা পানির বিলের কপি দেখাতেও ব্যর্থ হন।

অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশনের পানি শাখার প্রধান ও নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর জানান, অভিযানে এসে আমরা যেসব বাসায় অবৈধ সংযোগ পাচ্ছি, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।

পাশাপাশি অবৈধ সংযোগ গ্রহণকারীদেরকে অবিলম্বে অনুমতি গ্রহণপূর্বক ফি প্রদান করে তিনদিনের মধ্যে সংযোগ বৈধ করারও সুুযোগ দেওয়া হচ্ছে। অভিযানকালে যাদের বিল বকেয়া আছে তাদেরকেও বিল পরিশোধের জন্য সময়সীমা বেধে দেওয়া হচ্ছে।

বর্তমানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ১৩ হাজার ২শ ৫৫ জন গ্রাহক আছেন জানিয়ে আলী আকবর জানান, বর্তমানে প্রতি বছর পানি সরবরাহ বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা আদায় হওয়ার কথা। কিন্তু সেই জায়গায় প্রতি বছর আদায় হচ্ছে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ টাকা। সুতরাং বকেয়া বিল আদায় এবং অবৈধ সংযোগ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এই অভিযান চালানো হচ্ছে।

তিনি জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে ইতোমধ্যে নগরীর শিবগঞ্জ, লামাপাড়া, সোনারপাড়া, মৌচাক, সাদীপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় অবৈধ সংযোগ গ্রহণকারীর কাছ থেকে জরিমানাও আদায় করা হয়।

মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর।

তিনি আরও জানান, প্রতি মাসে পানি সরবরাহ কাজে সিটি কর্পোরেশনের ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। অথচ প্রতিমাসে গড়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় হচ্ছে ৬-৭ লাখ টাকা। পানি সরবরাহ কার্যক্রম গতিশীল ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে গ্রাহকদেরকে সময়মতো বিল পরিশোধের জন্য আহবান জানান পানি শাখার প্রধান ও নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর। 

অভিযানকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের টিম ছাড়াও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এসআই আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৬ জন পুলিশ সদস্যও অংশগ্রহণ করেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.