Sylhet Today 24 PRINT

শ্রীমঙ্গলে চিকিৎসকের অবহেলায় করোনা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

চা বাগানে কর্মবিরতি

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি |  ২৩ এপ্রিল, ২০২১

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের কালীঘাট চা বাগানে চিকিৎসকের অবহেলায় মন্টু তাঁতি (৫৫) নামে করোনা আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলার কালীঘাট চা বাগানের বাসিন্দা ও একই পোষ্ট অফিসের অবসর প্রাপ্ত অফিস সহকারী। বৃহস্পতিবার রাতে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।

এ ঘটনার পর শুক্রবার সকাল থেকে শ্রীমঙ্গলের কালীঘাট চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা কর্মবিরতির ডাক দিয়ে তা পালন করছেন।

কালীঘাট চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অবান তাঁতি জানান, মন্টু তাঁতি গত বুধবার করোনা পজিটিভ হন। বৃহস্পতিবার রাতে তার শ্বাস কষ্ট দেখা দিলে বাগানের হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স চাওয়া হয়। কিন্তু বাগানের হাসপাতাল থেকে এ্যাম্বুলেন্স না দেয়ায় ঘরের থেকেই রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। বাগানের ম্যানেজারকে চা বাগানের হাসপাতালের এম্বুলেন্সটি পাঠানোর জন্য বারবার অনুরোধ করেও কোনো কাজ হয় নি। এক পর্যায়ে তিনি এম্বুলেন্সের ব্যাপারে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাদিরা খানমের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

পরে চিকিৎসক নাদিরা খানমকে এম্বুলেন্সের কথা বললে তিনি করোনা রোগী বহনের জন্য বাগানের এম্বুলেন্স দেওয়া যাবে না বলে জানান। এমনকি রোগীকে অটোরিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক। পরে বারবার অনুরোধ করেও এম্বুলেন্স না পেয়ে শ্রীমঙ্গলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে ফোন দিলে তিনি তৎক্ষণাৎ এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেন ও রোগীকে মৌলভীবাজার নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়।

এ বিষয়ে বালিশিরা মেডিকেল ডিপার্টমেন্ট (বিএমডি) এর চিকিৎসক নাদিরা খানম বলেন, ‘এই এম্বুলেন্স করোনা রোগী নিয়ে গেলে অন্যান্য রোগীর জন্য সমস্যা হয়ে যায়। এসব বিষয় আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেখে থাকেন। এখানে এম্বুলেন্স দেওয়ার বিষয়ে আমার কোন এখতিয়ার নেই।’

এ ব্যাপারে কালীঘাট চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালের এম্বুলেন্সে জরুরী জিনিসপত্র থাকায় আমরা অন্য জায়গা থেকে এম্বুলেন্স এনে দিয়েছি। বেশী সময় অতিক্রম করা হয় নি। এই বিষয়ে ডাক্তারের সাথে কথা বলতে পারেন।’

এদিকে শুক্রবার দুপুরে বাগানে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি একটি মিটিং এ ব্যস্ত আছেন, পরে কথা বলবেন বলে জানান।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি রাতে তাদের বাড়িতে গিয়ে দাফনের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করে এসেছি। করোনা রোগীর জন্য বাগান কর্তৃপক্ষ যেন গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে সে বিষয়ে আমি অফিসিয়াল চিঠি পাঠাবো।’

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.