মাধবপুর প্রতিনিধি | ১২ জুন, ২০২১
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মেহেরপুর গ্রামে স্বামী তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্ত্রী লিপা আক্তারকে (২৩) প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শনিবার (১২ জুন) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর লিপা আক্তারের স্বামী ওই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে হারুন মিয়া (২৬) ধর্মঘর ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম কামালের কার্যালয়ে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
খরব পেয়ে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক(এসআই) দেবাশিষ তালুকদার হারুন মিয়াকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে।
জানা যায়, প্রায় ৬ বছর পূর্বে বিজয়নগর উপজেলার বড়চাল গ্রামের ফিরোজ মিয়ার কন্যা গার্মেন্টস কর্মী লিপা আক্তার ও মেহেরপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে রাজমিস্ত্রি সহকারী হারুন মিয়া চট্টগ্রামে কর্মরত অবস্থায় পরিচিত হয়ে প্রেম করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরই মধ্যে তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। স্বামীর অভিযোগ লিপা পরকীয়া আসক্ত। লিপা আক্তার প্রায়ই বাড়ী থেকে স্বামীকে না জানিয়ে চলে যায়।
ঘটনার দিনও নিপা বাড়ী থেকে বের হয়ে যেতে চায়। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে হারুন তার স্ত্রী লিপাকে হত্যার উদ্দেশ্য ধারালো দা দিয়ে ঘাড়ে কুপ মারেন। লিপা মাটিতে লুটিয়ে পরে মৃত ভেবে স্বামী হারুন চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম কামালের কাছে আত্মসর্মপন করেন।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনার সাথে সাথেই ঘটনা স্থলে পুলিশ গিয়ে হারুন মিয়াকে আটক করেছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।