মাধবপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

হবিগঞ্জের মাধবপুর প্রবাসীর স্ত্রীকে কামড়িয়ে , পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২ আগস্ট) ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার শেমড়া গ্রামের মৃত গোলাম কবির মিয়ার মেয়ে আমেনা বেগমকে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিয়ে দেওয়া হয় মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের টিটু মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর তাদের সংসার সুন্দর ভাবেই চলছিল। এর মধ্যে আমেনা ১ মেয়ে ও ২ ছেলের জন্ম দেন। টিটু জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমান দুবাই। সম্প্রতি তাদের মধ্যে পারিবারিক ঝামেলার সৃষ্টি হয়। সোমবার সকালে টিটুর স্ত্রীর সঙ্গে পরিবারের অন্যান্যদের মধ্যে ঝগড়ার হয়।

আমেনা বেগম হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় জানান, তার দেবর এর বউ ও ননদরা মিলে তাকে পিটিয়ে আহত করেছে।

আমেনার চাচা শশুর আব্দুল বাছির জানান, তাদের মধ্যে অনেক দিন যাবত ঝামেলা চলছে। আজ সকালে মারমারির খবর পেয়ে টিটুদের বাড়িতে গিয়ে আমেনাকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।

আমেনার ভাই রফিকুল ইসলাম ছুট্রো জানান, টিটু বিদেশ চলে গেলে তার বোন ও বাচ্চারা আলাদা থাকত। টিটুর মা, বোন, ভাইয়েরা চাইত টিটু তাদের টাকা দিতে। টিটু টাকা না দিলে শুরু হয় ঝামেলার। আজ আমেনার শাশুড়ি ও ননদরা তাকে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে তিনি এসেছেন।

টিটুর ভাই আব্দুল আহাদ মিন্টু পাল্টা অভিযোগ করে জানান, আমেনা মা, বোনকে নানা রকম অশালীন কথা বর্তা বলে। বোনরা স্বামীর বাড়িতে থাকে। বছরে এক দুই বার বেড়াতে আসে। বোনরা বেড়াতে আসলে ঝগড়া শুরু করে। সংঘর্ষের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে তিনি বাড়িতে ছিলেন না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আশেকুর রহমান মামুন জানান, মহিলাকে মারপিট করেছে বলে শুনেছি। তাদের মধ্যে অনেকদিন যাবত ঝামেলা চলছে। বিষয়টি সমাধান করার জন্য ধর্মঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে।

মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, এটি পারিবারিক ঘটনা। দুই পক্ষই অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।