Sylhet Today 24 PRINT

কুলাউড়ায় টিকা নিয়ে বিশৃঙ্খলা, না পেয়ে ফেরত গেলেন অনেকে

কুলাউড়া প্রতিনিধি |  ০১ অক্টোবর, ২০২১

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় করোনার টিকা কার্যক্রম নিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। নির্দিষ্ট তারিখের ম্যাসেজ পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে অপেক্ষা করে টিকা না পেয়ে ফেরত গেলেন ৫ শতাধিক মানুষ।

টিকা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার নিবন্ধনকারীরা হাসপাতাল ভবনের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে ভোগান্তির শিকার মানুষরা অভিযোগ করে জানান, নির্দিষ্ট তারিখের ম্যাসেজ পেয়ে টিকা দিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাসপাতালের সামনে রোদে দাঁড়িয়ে থেকেও ভ্যাকসিন পাননি। হঠাৎ দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টিকা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে গেইট বন্ধ করে দেন। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণটিকার জন্য উপচে পড়া ভিড়ে বিশৃঙ্খলতা দেখা দেয়। চাহিদার তুলনায় টিকা কম থাকায় অনেকে টিকা না পেয়ে ফেরত গিয়েছেন।

অর্ধশতাধিক ভোক্তভূগি বলেন, বুধবার রাতে মোবাইলে ম্যাসেজ পাই টিকা দেওয়ার। ম্যাসেজে ৩০ তারিখ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেন্দ্রে এসে টিকা দেওয়ার কথা জানানো হয়। সকাল থেকে এসে অপেক্ষা করে টিকা পাইনি। টিকা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা হঠাৎ জানান কর্তৃপক্ষ। আবার কবে টিকা দিতে পারবো সেটাও দায়িত্বরত কেই বলতে পারছেন না। তাঁরা আরো বলেন, অনেকে নিবন্ধনের ম্যাসেজ ছাড়া এসেও টিকা দিয়েছেন। সারাদিন রোদে পুড়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হিফজুল এনাম খান বলেন, তাঁর স্ত্রী রাবেয়া বেগমের টিকা দেওয়ার ম্যাসেজ পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি টিকা শেষ। টিকার সংকট যেহেতু তবে কেনো এত লোককে আজকের তারিখ নির্দিষ্ট করে ম্যাসেজ দেওয়া হলো। এ জন্য সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এটা কর্তৃপক্ষের দায়হীনতা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ১৩টি ইউনিয়নে ৯৪৪০ ডোজ করোনার টিকা বরাদ্দ হয়। এর মধ্যে ৭০০ ডোজ করে কর্মধা ও জয়চÐী ইউনিয়নে এবং বাকি ১১ ইউনিয়নে ৬০০ ডোজ করে গণটিকার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার এই দুইদিনে মোট ১৯ হাজার ৪৪০ ডোজ গণটিকার জন্য বরাদ্দ হয়।

কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক জানান, আমার ইউনিয়নের ৭০০ ডোজ গণটিকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু প্রায় ৪-৫ হাজার মানুষ টিকা কেন্দ্রে এসে উপস্থিত হয়ে টিকা না পাওয়া লোকজন ক্ষুব্দ হয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে। এদিকে রাউৎগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল জানান, আমার ইউনিয়নে ৬০০ ডোজ গণটিকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ম্যাসেজ পাওয়া অনেক মানুষ টিকা না পেয়ে ফিরত গিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস আক্তার বলেন, আগে ম্যাসেজ পেয়েও অনেকে নির্দিষ্ট তারিখে টিকা গ্রহণ করেননি। নতুন ও পুরাতন ম্যাসেজ প্রাপ্তরা একসাথে আজকে এসে হাসপাতালে একটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করেছেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। এতে চাহিদার তুলনায় টিকা আমাদের কাছে কম থাকায় অনেককে দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে নির্ধারিত তারিখের ম্যাসেজপ্রাপ্তদের পরবর্তীতে টিকা এলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের দেয়া হবে।

ম্যাসেজ ছাড়া অনেকে টিকাগ্রহণের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা ভিত্তিহীন। আগের নিবন্ধিতরাই টিকা পেয়েছেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.