Sylhet Today 24 PRINT

শান্তিগঞ্জে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি |  ১৬ অক্টোবর, ২০২১

দেবী দুর্গা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সারা দেশের ন্যায় শান্তিগঞ্জ উপজেলায়ও শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দিনের বিভিন্ন সময় উপেজলার সুরমা, সুরমার শাখা নদী মহাসিং ও স্থানীয় একাধিক পুকুরে দুর্গা বিসর্জন করা হয়।

বিসর্জনের পূর্বে উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের ডাবর পয়েন্টে উপস্থিত হয়ে ডাবর সংলগ্ন মহাসিং নদীতে বিসর্জন দিতে আসা পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের ত্রিনয়নী পূজা কমিটি, মহামায়া সংঘ ও সনাতন সংঘের ভক্তবৃন্দ সহ সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য শুভ কামনা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান এমপি।

ডাবরে দুর্গা বিসর্জনের সময় উপস্থিত ছিলেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার উজ্ জামান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দোলন রানী তালুকদার, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূরুল হক, শান্তিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল, শান্তিগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জ্যোতি ভূষণ তালুকদার ঝন্টু, সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা, ইউপি সদস্য রনজিত সূত্রধর, সাবেক ইউপি সদস্য ধীরেন্দ্র পাল ধীরু, আওয়ামীলীগ নেতা নিজাম উদ্দিন, শাহীন আহমদ, যুবলীগ নেতা কেশব দেব, মতিউর রহমান মতি, মো. জিতু মিয়া, অসিম পাল, রমা পাল, অপু চন্দ্র পাল, রুপন পাল, রানা পাল, দিবাকর পাল, শিমুল পাল, পরিমল পাল দিপঙ্কর পাল, জয় চক্রবর্তী প্রমুখ।

শান্তিগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৭টিতে ২২টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। তাদের মধ্যে জয়কলস ইউনিয়নের দেবোগ্রাম সার্বজনীন পূজা কমিটির ও পশ্চিম পাগলার লোকনাথ মন্দিরের মণ্ডপ দু’টি বিসর্জন করা হয়নি। বাকী ২০টি মণ্ডপই সুরমা ও মহাসিং নদীসহ বিভিন্ন স্থানীয় পুকুরে বিসর্জন করা হয়েছে। পূজার এ চার দিনে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় কোনো রকমের আপত্তির ঘটনা ছাড়া পূজা উদযাপন করতে পারায় সকল জনপ্রতিনিধি,  রাজনৈতিক মহল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সনাতন ধর্মের সাধারণ মানুষ এবং উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জ্যোতি ভূষণ তালুকদার ঝন্টু ও সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা বলেন, আমরা খুব শান্তিপ্রিয় ভাবে, নির্বিঘ্নে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মা দুর্গা বিসর্জন করেছি। সমস্ত উপজেলায় কোথাও কোনো আপত্তিকর ঘটনা ঘটেনি। এজন্য আমরা উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধি,  রাজনৈতিক মহল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করছি এ সম্প্রীতির বন্ধন সব সময় আমাদের মাঝে অটুট থাকবে।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন বলেন, শান্তিগঞ্জ একটি সম্প্রীতির উপজেলা। আমরা সব সময়ই সে সম্প্রীতি বজায় রেখে চলি। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত সম্পূর্ণ পূজায় উপজেলার ২২টি মণ্ডপে কোনো আপত্তিকর ঘটনা ঘটেনি। আমরা সব সময় মাঠে কাজ করেছি। অনেকেই কষ্ট করেছেন। সম্প্রীতির এ বন্ধন অটুট রাখতে আমরা সব সময় কাজ করে যাবো।

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি মুক্তাদির হোসেন বলেন, আমাদের থানা এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনাই ঘটেনি। আমি এবং আমার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক সচেষ্ট ছিলাম। আইন শৃঙ্খলা রাক্ষার্থে স্থানীয়রা আমাদের যতেষ্ট সহযোগিতা করেছে। সকলকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার উজ্ জামানও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, এ বছর দেবী দুর্গা সোমবার (১১ অক্টোবর) ষষ্ঠ তিথিতে ঘোটকে করে আগম করেন। শুক্রবার দশমীর দিন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দোলায় গমন করেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.