Sylhet Today 24 PRINT

নদী আমাদের জীবন, নদীকে বাঁচাতে সচেতনতা জরুরি: ইশরাত জহান

অবৈধ ও অপরিকল্পিভাবে বালু উত্তোলন; পরিবেশ বিপর্যয় রোধে করণীয়\' শীর্ষক সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ৩০ নভেম্বর, ২০২১

সিলেট বিভাগের চারটি জেলাতেই বালু পাওয়া যায়। তবে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় সিলিকা বালু অপেক্ষাকৃত বেশী। বালু ব্যবসায়ীরা বালু সমৃদ্ধ অনেক টিলা এবং চা-বাগানকেও বালু উৎস্যস্থল হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

হবিগঞ্জ জেলার ৩০টি বালু মহাল আছে। বালু উত্তোলনের জন্য নির্দিষ্ট অনূকুল স্থান ব্যাতিরেকে অন্য কোন স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা উচিত নয়। যত্রতত্র বালু উত্তালনের ফলে ছড়া সংলগ্ন কৃষিজমি, বাঁশঝাড়, গাছগাছালি এবং বসতবাড়ি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। পরিবেশের এই বিপর্যয় রোধে বালু উত্তোলনের নির্দিষ্ট অনুকূল স্থান নির্ধারণের পাশাপাশি প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি সংশিষ্ট সংস্থাকে মনিটরিংয়ে থাকতে হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আয়োাজিত হবিগঞ্জে অবৈধ ও অপরিকল্পিভাবে বালু উত্তোলন; প্রতিবেশ ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধে করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।

বাপা হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ইকরামুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকালে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেলা'র সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক এডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বেলা'র কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, চা বাগান থেকে বালু উত্তোলনের ইজারা প্রদান বন্ধ আছে, সরকারি বালু মহল থেকে সাধারণত কোনো অভিযোগ আসে না, অভিযোগ এলে অবশ্যই আমরা পদক্ষেপ নিবো, কিন্তু বালু উত্তোলন প্রক্রিয়া একেবারে বন্ধ করা সম্ভব নয়। নতুবা নদী তার গতিপথ হারাবে। নদীগুলো আমাদের জীবন, নদী রক্ষায় আমাদের সবাইকে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিজেন ব্যানার্জি, পরিবেশ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান, বাপা'র হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক নয়ন মনি সূত্র ধর, হবিগঞ্জ সদর সিনিয়র উপ মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান, হবিগঞ্জ জেলা বারের সভাপতি মনজুর উদ্দিন আহমেদ প্রমূখ।

মূল প্রবন্ধে বেলার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক এডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার উল্লেখ করেন, হবিগঞ্জে ২৩টি সিলিকা বালুমহাল ও ৭টি সাধারণ বালুমহাল রয়েছে। ছড়াগুলো থেকে বালু উত্তোলন করা হলের পরিবেশগত বিপর্যয়ের ভয়াবহতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। এমতাবস্থায় বর্ণিত এলাকাসমূহ বালু মহালের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার জন্য আইনি নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.