Sylhet Today 24 PRINT

অনন্ত বিজয় হত্যা: শেষ হয়েছে সাক্ষ্য গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: |  ২১ জানুয়ারী, ২০২২

বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক, ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পরিদর্শক আরমান আলী বৃহস্পতিবার আদালতে অবশিষ্ট সাক্ষী উপস্থাপন করেন। তাদের স্বাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে শেষ হয় এই কার্যক্রম।

এরপর সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব আগামী ২৬ জানুয়ারি আসামি পরীক্ষার জন্যে তারিখ ধার্য করেন। এ পর্যন্ত ২৯ জনের মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।

এরআগে বুধবার সিলেট সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পরিদর্শক আরমান আলী, পরিদর্শক (আইটি ফরেনসিক) মাসুদ সিদ্দিকী ও উপ পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানার সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে মাসুদ সিদ্দিকী ও সোহেল রানার সাক্ষ্য গ্রহণের পর জেরা সম্পন্ন হলেও আরমান আলীর জেরা অসম্পূর্ণ থাকে। এরপর সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব বৃহস্পতিবার মামলার তারিখ নির্ধারণ করেন। আদালত চাইলে সেদিন সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হতে পারে।

এই মামলায় বাদীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোহাম্মদ মনির উদ্দিন জানান, এই মামলায় ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়ে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। কয়েকজনের সাক্ষ্যগ্রহণ বাকি থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাকি সাক্ষীদের মধ্যে দুজন দেশের বাইরে রয়েছে। তবে ন্যায়বিচারের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ সব সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। মামলার আসামি ও সাক্ষীদের অনুপস্থিতিতে কয়েক দফা সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর ফলে বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে।

২০১৫ সালের ১২ মে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নগরীর সুবিদবাজারের নুরানি আবাসিক এলাকার বাসা থেকে কয়েকশ গজ দূরে অনন্ত বিজয়কে কুপিয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় দায় স্বীকার করেছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার বাংলা টিম।

নিহতের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। ২০১৭ সালের ৯ মে সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী ৬ জনকে আসামি করে আদালতে সম্পূরক অভিযোগ দেন। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, শফিউর রহমান ফারাবী, মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহী, আবুল খায়ের রশীদ আহমেদ, আবুল হোসেন ওরফে আবুল হুসাইন, হারুনুর রশীদ ও ফয়সল আহমদ।

এই মামলার আসামিদের মধ্যে ফারাবী ও আবুল খায়ের বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। অপর আসামি মান্নান রাহী কারান্তরীণ অবস্থায় মারা গেছেন।

অপর তিন আসামি প্রথম থেকেই পলাতক রয়েছে। ২০১৭ সালের ২৩ মে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালে মামলাটি বিচারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.