Sylhet Today 24 PRINT

শাবির আন্দোলনকে ভিন্নভাবে প্রবাহিতের অপচেষ্টা চলছে: শিক্ষক সমিতি

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২১ জানুয়ারী, ২০২২

সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থীদের কয়েকটি ন্যায্য দাবি দাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘটিত আন্দোলনকে ভিন্নভাবে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন গভীরভাবে উদ্বীন্ন।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারী ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া বিবৃতিতে বলেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, নিম্নমানের খাবার পরিবেশন, ছাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার করাসহ নানা অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে গত ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের ছাত্রীরা হল থেকে বেরিয়ে ক্যাম্পাসের গোলচত্বর এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করে।

তারা গভীর রাতে উপাচার্যের আশ্বাসে ছাত্রীরা হলে ফিরে যায়। পরেরদিন শুক্রবার কয়েকজন ছাত্রী উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সাথে সাক্ষাৎ করে লিখিতভাবে প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার পদত্যাগ, নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ এবং হলের অব্যবস্থাপনার দ্রুত কার্যকর সমাধানের দাবি জানায়। উপাচার্য হলের সকল সমস্যা সমাধানে ছাত্রীদের কাছে একমাস সময় চান। তবে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে সময় না দিয়ে দাবি মেনে নিতে আল্টিমেটাম দিয়ে পুনরায় আন্দোলন শুরু করে।

১৬ জানুয়ারি রবিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। উপাচার্য ডিনদের এক সভায় যাওয়ার সময় হঠাৎ একদল উশৃঙ্খল শিক্ষার্থী তাঁকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে। এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে থাকা কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁকে আইসিটি ভবনে নিয়ে যান। সেখানে অবরুদ্ধ অবস্থায় এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমতাবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে।

অভিযোগ রয়েছে সরকার বিরোধী সুযোগ সন্ধানী মহল ইতোমধ্যে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে হলে নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও একটি মহল কোমল মতি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন। আমরা মনে করি শাহ্ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় নয়। বরং তা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে। বর্তমান উপাচার্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সমাধানযোগ্য একটি বিষয়কে উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলনে রূপান্তর করার উদ্দেশ্য নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান শান্ত পরিবেশকে বিঘিড়বত করে শিক্ষার্থীদেরকে ব্যবহার করে একটি মহল কর্তৃক দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি অংশ বলে আমরা মনে করি । সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান তারা। একই সাথে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক সকল দাবিদাওয়া মেনে নিয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.