Sylhet Today 24 PRINT

কুলাউড়ায় টেকনিশিয়ানের অভাবে অকেজো ইসিজি ও এক্স-রে মেশিন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল দশা

এস আলম সুমন, কুলাউড়া |  ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫

কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন থেকে টেকনিশিয়ান পদ শূন্য থাকায় অকেজো পড়ে আছে মূল্যবান ইসিজি, এক্স-রে মেশিনসহ অন্যান্য চিকিৎসা যন্ত্রপাতি। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন চিকিৎসাসেবা পেতে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছুটে আসা নিম্ন আয়ের মানুষ।



জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯৯৫ সালে এক্স-রে মেশিনটি স্থাপন করা হয়। এর ৩ বছর পর ১৯৯৮ সাল থেকে টেকনিশিয়ান পদটি শূন্য থাকায় এক্স-রে মেশিনটি পরিচালনার অভাবে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফা লিখিতভাবে জানালেও কোন বিহিত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। গত দুই বছর ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নতুন ইসিজি (ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাফ) মেশিন প্রদান করা হলেও টেকনিশিয়ানের অভাবে সেটিও অলস পড়ে আছে। এছাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের অবস্থাও জরাজীর্ণ। নেই কোন হুইল চেয়ার। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৪ লক্ষাধিক জনসাধারণের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক রোগী আসেন জরুরি বিভাগে। আবাসিক বিভাগে রোগী ভর্তি হন গড়ে ৫০-৬০ জন। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন দুই শতাধিক মানুষ।

চিকিৎসাসেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি ২০০২ সালে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করার পরও এখনও পর্যন্ত চিকিৎসাসেবার মান নিশ্চিত হয়নি। উচ্চ মধ্যবিত্তরা চিকিৎসা সেবা নিতে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চলে যান। কিন্তু নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষরা পড়েন বিপাকে।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. সত্যকাম চক্রবর্তী বলেন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মাসিক সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষকে জনবল সংকটের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, টেকনিশিয়ান পদের সনদধারী লোকের অভাব থাকায় সংশ্লিষ্ট বিভাগে লোক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.