সিলেটটুডে ডেস্ক | ০৩ জুলাই, ২০২২
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার সারাদিন ব্যাপী সুনামগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত শাল্লা উপজেলার বন্যাদুর্গত কয়েকটি গ্রামের ২৬০ টি পরিবারে ত্রাণ হিসেবে নগদ টাকা বিতরণ করা হয়।
গ্রামগুলো হলো আনন্দপুর, সুলতানপুর, সুখলাইন, পোড়ারপাড়, বাহাড়া, কলাকান্দি, কান্দকলা, যাত্রাপুর, মামুদনগরের আরিফনগর। বন্যার কারণে গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ি কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় দিরাই ও শাল্লা উপজেলা জেলা সদর থেকে দূরবর্তী হওয়ায় হাওরপাড়ের ঐ গ্রামগুলোতে ত্রাণ নিয়ে মানুষ খুব কমই যাচ্ছে। বিশাল পানির বহর দ্বারা আচ্ছাদিত হাওর এলাকার এই গ্রামগুলো দূর থেকে দেখতে একেকটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো লাগে। এবারের বন্যা এই দ্বীপ গ্রামগুলোকে অনেকটা তাসের ঘরের মতো তছনছ করে দিয়েছে। এখন যারা ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন কিছু দিন পর তাদের পূণর্বাসনের জন্য বৃহৎ ফান্ডের প্রয়োজন হবে। তখন সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান মানুষ যদি এগিয়ে আসেন তবে বন্যার কারণে প্রায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া পরিবারগুলো হয়তো কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য গঠিত ত্রাণ তহবিলে সিলেট অঞ্চলের বেশ কয়েকটি কলেজ অংশ নেয়। কলেজগুলো হলো মুরারিচাঁদ কলেজ, সিলেট সরকারি কলেজ, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ, চুনারুঘাট সরকারি কলেজ, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ। এই কলেজগুলোর পাশাপাশি সারা বাংলাদেশ থেকে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাগণ ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমে এগিয়ে আসেন। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন সিলেট অঞ্চলের ত্রাণ সহায়তা তহবিলে তাদের সাধ্য মতো অনুদান প্রদান করেন। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের চতুর্থ দিন হিসেবে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রতিনিধি হিসেবে সিলেট অঞ্চল থেকে ত্রাণ বিতরণে যেসব কর্মকর্তা সরাসরি অংশ নেন তারা হলেন সাগর বিশ্বাস, দিলীপ রায়, সফিকুল ইসলাম, মোঃ ফরিদ মিয়া, শেখ আরশাদ আহমেদ মিহাদ, দেলোয়ার হোসেন, নিকসন দাশ। তাছাড়া ফ্রন্টলাইনের বাইরে থেকে অনেক কর্মকর্তা এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমকে এগিয়ে যেতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।