Sylhet Today 24 PRINT

এবার অজ্ঞান অবস্থায় সিলেটের দুই পরিবারের ৮ সদস্যকে উদ্ধার

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৩ আগস্ট, ২০২২

ওসমানীনগর উপজেলার একটি বাসা থেকে প্রবাসী পরিবারের ৫ সদস্যকে অজ্ঞাত অবস্থায় উদ্ধার ও তাদের ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছে সিলেটে।

এবার সিলেট সদর উপজেলার বড়শালা থেকে দুই পরিবারের ৮ সদস্যকে অজ্ঞাত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার সকালে স্থানীয়রা অজ্ঞাত অবস্থায় ঘর থেকে তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের মধ্যে দুজনের সন্ধ্যা পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট ক্লাবের পেছনের একটি বাড়ির বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলেন।সকালে তাদের পরিবারের দুইজন এসে স্থানীয়দের ডাকাডাকি করলে তারা অসুস্থদের উদ্ধার করে তারা হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলেন- সুহানুর রহমান সাগর, নিগার সুলতানা, মাজেদা বেগম, সুভাষ চন্দ্র দে, শ্রীভাষ চন্দ্র দে, সুজন দে, শিবানী চন্দ্র দে ও গৌরি রানি দে।

অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিগার সুলতানা বলেন, সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের পাশে টিনশেডের একটি একতলা বাসায় তারা দুটি পরিবারের বাস করেন। শুক্রবার রাতে দুই পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার খেয়ে নিজ নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। তবে তার ভাই সাহেদ আহমদ রাতে অন্যত্র খেয়ে আসায় বাসায় রাতের খাবার খাননি। সাহেদ প্রায় পুরো রাতই জেগে ছিলেন।

নিগার বলেন, ভোর ৫টার দিকে আমাদের চোখে জ্বালাপুরা করছিলো। তখন চিৎকার করে ঘুম থেকে উঠি। এরপর থেকে আমরা চোখে ঝাপসা দেখতে থাকি। তারে কয়েকবার বমিও করি।  

তিনি বলেন, চিৎকার শুনে আমার ভাই দৌঁড়ে এসে দেখেন, রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কাটা। এরপর আমার আর কিছু মনে নেই। সকালে দেখি হাসপাতালে ভর্তি।

এ ব্যাপারে সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাইনুল জাকির, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি চুরির উদ্দেশ্যেই চুরেরা এমনটি করে থাকতে পারে। আমরা কিছু আলামত জব্দ করেছি। তবে বিস্তারিত তদন্তের আগে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।

এরআগে গত গত ২৬ জুলাই ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারের একটি বাসা থেকে প্রবাসী পরিবারের পাঁচ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। হাসপাতালে নেয়ার পর ওই দিনই মারা যান প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে মাইকুল ইসলাম। এরপর ৬ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারনা যান রফিকুলের মেয়ে সামিরা ইসলাম।

এই মৃত্যু ও অসুস্থতার রহস্যও এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.