Sylhet Today 24 PRINT

কাঠ, ধান আর চালের গুড়ায় রং মিশিয়ে তৈরি মসলা

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

কাঠের গুড়ার সাথে লাল রং মিশিয়ে বিক্রি তৈরি করা হচ্ছে মরিচের গুড়া নামে আর ধানের কুঁড়ার সাথে হলুদ রং মিশিয়ে হলুদের গুড়া ও চালের গুড়ার সাথে বাদামি রং মিশিয়ে হয়ে যাচ্ছে ধনিয়া গুড়া।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোক্তা অধিদপ্তর ও র‌্যাব যৌথভাবে অভিযান চালিয়ো সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজারের এমন ভেজাল মসলা তৈরির কারখানার সন্ধান মিলে। অভিযানে ওই প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ঝর্ণা মসলা মিল নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫ বছর ধরে সিলেটে এভাবে ভেজাল মসলা তৈরির কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর। এসব ভেজাল মসলা ভোররাতে ট্রাকে করে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হতো বলেও জানান ভোক্তা অধিপ্তরের কর্মকর্তারা।


 অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ জানান, দুপুরে অভিযানে গিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে ভেজাল মসলা তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়। এসময় ভোক্তা অধিদপ্তর ও  র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পেছনের ডোবায় নেমে অধিকাংশ শ্রমিক সাতরিয়ে পালিয়ে যায়। তবে ফজলুল হক নামের এক শ্রমিক ধরা পড়ে।

মাসুদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ফজলুল হক বিভিন্ন গুড়ার সাথে রং মিশিয়ে ভেজাল মসলা তৈরির বিষয়টি স্বীকার করেন। এসময় কারখানার মালিক নাজিম উদ্দিনের সাথে ফোনে আলাপ হলেও তিনি কারখানায় আসেননি। তবে নাজিম উদ্দিনের ভাইয়ের উপস্থিতিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মসলা কারখানাটিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ভবিষ্যতে এ কারখানাতে আর কোন ভেজাল মসলা উৎপাদন করা হবে না মর্মে মুচলেখা নেয়া হয় জানিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, অভিযান চলাকালে কারখানাটিতে ২শ বস্তা ভেজাল মসলা ও ১২ ব্যাগ ক্ষতিকর রাসায়নিক রং পাওয়া যায়। এসময় এলাকাবাসীর উপস্থিতে সকল মসলা ও রং ধ্বংস করা হয়।

এসময় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সচেতনতামূলক লিফলেট ও পাম্পলেট বিতরণ করা হয় বলেও জানান তিনি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.