Sylhet Today 24 PRINT

হেরেছেন ৯ বার, এবারও চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান

রেজুওয়ান কোরেশী, জগন্নাথপুর |  ২২ মে, ২০২৩

জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন মিলিয়ে দশমবারের মতো নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) ৭৮ বছর বয়সী নেতা আতাউর রহমান।

গত নয়টি নির্বাচনে তিনি জয়ের দেখা পাননি। এবার তিনি প্রার্থী হয়েছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে। মনোনয়ন পেয়েছেন জাপার প্রার্থী হিসেবে।

নির্বাচনে প্রার্থী হলেও মাঠে নেই পোস্টার, লিফলেট কিংবা ব্যানার। 'নির্বাচনপাগল' হিসেবে পরিচিত আতাউর রহমানের প্রার্থিতা নিয়ে উপজেলায় আবারও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা জানান, এই উপজেলায় জাতীয় পার্টির একসময় উল্লেখযোগ্য ভোটার ছিল। জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এ নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী। পরে তাঁর ভাই ফারুক রশীদ চৌধুরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ১৯৮৫ সালে দেশের প্রথম উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় পার্টি নেতা আবু খালেদ চৌধুরী এই উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালের পর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। গত বছরের ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাপা কোন প্রার্থী না দিলেও দলের নেতা সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু খালেদ চৌধুরীর জামাতা আব্বাসউদ্দিন চৌধুরী লিটনকে সমর্থন দিয়ে প্রচার চালাতে দেখা যায়।

গত ২৬ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন মৃত্যুবরণ করলে এই উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষিত করা হয়।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। জাপার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন জাপার যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান। কিন্তু প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইকালে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হয়। পরে আপিলের মাধ্যমে তিনি মনোনয়নের বৈধতা ফিরে পান।

জানা গেছে, উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নে হাসান ফাতেমাপুর গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান এলাকার একজন সালিসি ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। নির্বাচন এলেই তিনি প্রার্থী হন। ৭৮ বছর বয়সী আতাউর রহমান ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হন। এরপর তিনি মীরপুর ইউনিয়নে পাঁচবার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন। ১৯৮৬ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। পরে ২০০১ ও ২০০৮ সালে জাপা মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচন করেন।

উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য আবু সুফিয়ান বলেন, এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের পরই জাতীয় পার্টির ভোটার বেশি। কিন্তু যোগ্য নেতৃত্ব ও সঠিক প্রার্থী না হওয়ায় ভোটে প্রভাব পড়েছে। আতাউর রহমান যে প্রার্থী হয়েছেন, তা দলের কর্মীরা এখনো জানে না।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আতাউর রহমান বলেন, জনগণের সেবা করতে বারবার প্রার্থী হই। এবারও হয়েছি। আর্থিকভাবে কিছুটা সমস্যায় আছি। তাই ঠিকমতো প্রচার চালাতে পারছি না। তবে তা দু-এক দিনের মধ্যে এটা কাটিয়ে উঠতে পারব।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.