Sylhet Today 24 PRINT

কিবরিয়া হত্যা মামলা: নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি বিচার, সময় বাড়ানোর আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ০৬ জানুয়ারী, ২০১৬

কিবরিয়া হত্যা মামলা নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা কাটছে না কিছুতেই। তদন্তে শেষে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্নের ক্ষেত্রেও দেখা দিয়েছে দীর্ঘসূত্রিতা। নির্ধারিত সময়েও শেষ হয়নি বিচার কাজ। ফলে এই হত্যা মামলার বিচার সম্পন্নের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

জানা যায়, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে কার্যক্রম শুরুর ১৩৫ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার কাজ শেষ করার বিধান রয়েছে। কিন্তু ১৩৫ কার্যদিবস পেরিয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি কিবরিয়া হত্যা মামলার বিচার কাজ। তাই এই মামলার বিচারের মেয়াদকাল বাড়ানোর আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

চলতি সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে এ আবেদন করেন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি কিশোর কুমার কর।

তিনি জানান, আইন মন্ত্রনালয়ের সাথে পরামর্শ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় এ ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করবে।

কিশোরকুমার কর বলেন, দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা সম্পনের সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও কিছু চাঞ্চল্যকর মামলার ক্ষেত্রে তা হ্রদ করা হয়। যেমন একুশে আগস্টের মামলার ক্ষেত্রে এই বিধান রহিত করেছে উচ্চ আদালত। কিবরিয়া হত্যা মামলার বিচারের ক্ষেত্রেও এমনটি হতে পারে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করতে না পারা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসামী ও সাক্ষীদের অনুপস্থিতিসহ নানা কারণে বিচার বিলম্বিত হচ্ছে।

এদিকে মন্ত্রনালয় থেকে সময়সীমা বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসার পূর্ব পর্যন্ত এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখারও আবেদন করেছেন ট্রাইব্যুনালের পিপি কিশোর কুমার কর।

এই আবেদনের ফলে বুধবার এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত থাকলেও সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান।

সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি কিশোর কুমার কর জানান, বুধবার কারান্তরীণ ১৪ আসামিদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়া ১২ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। কিবরিয়া হত্যা মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.