নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৭ জুন, ২০২৩
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় সড়ক দুর্ঘটনার পর লাশগুলো সড়কে, সড়কের পাশে ঝোপ-ঝাড়ের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল পড়ে ছিল। এমনটাই জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজে নেতৃত্ব দেন ওসমানীনগরের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফখরুল ইসলাম।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রথমে আহতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্স করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এরপর একে একে লাশগুলো উদ্ধার করি।’
তিনি বলেন, ‘ওসমানীনগরের বেগমপুরে খুব ভোরে আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় আমাদের কাছে খবর আসে দক্ষিণ সুরমায় আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বহু প্রাণহানির শঙ্কা আছে। ওই আহত ব্যক্তিকে নিয়েই ঘটনাস্থলে যাই।’
তিনি বলেন, ‘লাশগুলো সড়কের পাশে, সড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে পড়ে ছিল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রথমে আহতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্স করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এরপর একে একে লাশগুলো উদ্ধার করি।’
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এরকম দুর্ঘটনা আগে দেখিনি। দুর্ঘটনাটি দেখে মনে হচ্ছে ট্রাকের চালক ঘুমিয়ে ছিলেন। যার জন্য এই দুর্ঘটনা। কারণ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সিলেটে আসা চালকেরা না ঘুমিয়ে ট্রাক চালিয়ে নিয়ে আসেন। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কাও বেশি থাকে। আর এই দুর্ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে বালুবাহী ট্রাকটি ছিল খুবই দ্রুতগামী।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের বহনকারী পিকআপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পিকআপ ও ট্রাক মূলত মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সিলেট থেকে ওসমানীনগরে ঢালাই কাজে প্রায় ৩০ জন শ্রমিককে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তারা ছিলেন গাদাগাদি করে বসা। সেইসঙ্গে পিকআপে ছিল ঢালাই কাজের মিক্সার মেশিন, কোদাল, বেলচাসহ আরও অনেক যন্ত্রপাতি। মিক্সার মেশিনের ওপরও তিন-চার জন শ্রমিক বসা ছিলেন।’
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাই। সকাল ৭টা পর্যন্ত ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অন্তত ১৪ জন আহতকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠাই। আমরা আসার আগে স্থানীয়রা আরও আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করেন।’