Sylhet Today 24 PRINT

কয়লা আমদানিতে ফের সচল তাহিরপুরের ৩টি শুল্ক ষ্টেশন

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের অর্থনৈতিক জোন খ্যাত তিনটি শুল্ক ষ্টেশন (বড়ছড়া,চারাগাও,বাগলী) দিয়ে দীর্ঘ নয় মাস পর কয়লা আমদানীর মধ্য দিযে কর্মচাঞ্চল্য বন্দরে পরিনত হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া,তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ) |  ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের অর্থনৈতিক জোন খ্যাত তিনটি শুল্ক ষ্টেশন (বড়ছড়া,চারাগাও,বাগলী) দিয়ে দীর্ঘ নয় মাস পর কয়লা আমদানীর মধ্য দিযে কর্মচাঞ্চল্য বন্দরে পরিনত হয়েছে। ফলে দীর্ঘ দিনের কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে ৮ শতাধিক আমদানি কারন ও অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিকের মাঝে। বন্দরের কার্যক্রম চালু হলেও অনিশ্চিয়তা কটে নি। জানাযায়-এক বিশেষ নির্দেশনায় আমদানীর জন্য এলসি কৃত কয়লা বাংলাদেশে রফতানী করার জন্য বিশেষ অনুমোদন দেওয়া হয়। এ জন্য তিন মাসের সময় বেধে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২মাস ২৮দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। মঙ্গল ও বুধবার ঘোষিত সময়ের শেষ দুই দিন। তবে এই দু দিন পরে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

গত মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পথম দিনে ৬০০টন কয়লা আমদানীর জন্য বন্দরে পৌছেছে। তাহিরপুর কয়লা আমদনীকারক গ্রুপের কার্য্যালয় সুত্রে জানাযায়-ভারতের মেঘালয় মাইন ওনার্স ও এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জুলিও সিজার ও সাধারন সম্পাদক এম কার কারাঙার গত সোমবার একটি মেইল বার্তায় মঙ্গলবার বড়ছড়া শুল্কষ্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি শুরু হওয়ার কথা উল্লেখ্য করেন। ঐ মেইল বার্তা পাওয়ার পর সোমবার বিকালে বড়ছড়া-চারাগাঁও কয়লা আমদানী কারক গ্রুপরে নেতৃবৃন্দ ও মেঘালয় মাইন ওনার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনে নেতৃবৃন্দ বড়ছড়া শুল্ক ষ্টেশনের জিরো পয়েন্টে বৈঠকে বসে। সিদ্ধান্ত নেন মঙ্গলবার থেকে আবারও কয়লা আমদানি শুরু হবে। এ সময় দু দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম জানান- ছয়শত টন কয়লা আমদানি করার এলসি আমাদের হাতে পৌছেছে। কয়লা খালাস হতে যে ক-দিন প্রয়োজন হবে ততদিন বন্দর খোলা থাকবে। নতুন এলসির কাগজ না আসা পর্যন্ত বন্দর কত দিন খোলা থাকবে বলা যাচ্ছে না। সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি খায়রুল হুদা চপল জানান- কয়লা রপ্তানি বিষয়ে ভারতের পরিবেশবাদী আদালতের দেয়া রায় অনুযায়ী সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করতে হবে,না হয় আমদানি রপ্তানি কার্যক্রমে অনিশ্চিয়তা দেখা দিবে।


উল্লেখ্য,ভারতের ডিমাহাসাও জেলার পরিবেশবাদী সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের আবেদনের ভিত্তিতে গত ১৭ই এপ্রিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল মেঘালয়ে সরকারের অবৈধ কয়লা খনন,পরিবহন বন্ধের নির্দেশ দেন। গত ৬ই মে সংশ্লিষ্ট বিভাগের মুখ্য সচিব এ ব্যাপারে ঐই দেশের প্রতিটি জেলায় নির্দেশ জারি করে। এতে গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ কার্য়কর করতে বলা হয় মেঘালয়ের জেলা প্রশাসকদের। ফলে ১৩ই মে থেকে জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে কয়লা পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই মামলার জের ধরেই বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরের তিনটি শুল্ক বন্দর (বড়ছড়া,চারাগাঁও,বাগলী) দিয়ে কয়লা আমদানী বন্ধ হয়ে যায়। আমদানি বন্ধ হওয়ায় এর সাথে জরিত ৮শতাধিক আমদানি কারক ও ৫০হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পরে। থেমে য়ায় শুল্ক বন্দরের কার্য়ক্রম এক প্রকার মরু ভূমিতে পরিনত হয় তিনটি শুলÍ বন্দর। শ্রমিকদের মাঝে দেখা দেয় হাহাকার। ১৬ মে ২০১৪ইং এ পর্যন্ত থেকে তাহিরপুরের তিনটি শুল্ক বন্দর নয় মাস বন্ধ ছিল।

 

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.