Sylhet Today 24 PRINT

জুড়ীতে আওয়ামী লীগের নেতাকে নির্দোষ দাবি করে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

জুড়ী প্রতিনিধি |  ২৫ মার্চ, ২০২৪

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে একটি চুরির ঘটনায় শাসানোর কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন কারান্তরীণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শামসুজ্জামান রানুর পরিবার।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় কামিনীগঞ্জ বাজারস্থ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার ভাই সাইফুজ্জামান শ্যামল লিখিত বক্তব্যে বলেন, মহালদারি ব্যবসা, ইজারাদারি ব্যবসাসহ বিভিন্ন ব্যবসায় আমাদের সুনাম ও পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। দেশ ছাড়াও ইউরোপ-আমেরিকায় আমাদের পরিবারের লোকজন ব্যবসাসহ বিভিন্ন উচ্চতর চাকুরিতে জড়িত রয়েছেন। আমার বড় ভাই শামসুজ্জামান রানুও (৬৫) একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মহালদার নামে তিনি বেশ পরিচিত ও যথেষ্ট সুনামের অধিকারী। তার প্রথম স্ত্রী তিন মেয়েসহ আমেরিকায় বসবাস করেন এবং মেয়েরা ডাক্তারিসহ উচ্চতর পেশায় নিয়োজিত। দুই ছেলের লেখাপড়ার সুবিধার্থে তার দ্বিতীয় স্ত্রী সিলেটের বাসায় বসবাস করেন। আমার ভাইও বেশির ভাগ সময় সিলেটে থাকেন। জুড়ীর ব্যবসাসহ সহায় সম্পদ দেখাশোনার জন্য মাঝে মধ্যে জুড়ীতে আসেন । আমিও এই বাসায় বসবাস করি।

সাইফুজ্জামান শ্যামল বলেন, আমাদের বাসায় একজন কাজের মহিলা ছিলেন। তিনি প্রায়ই তার এক মেয়েকে সাথে করে নিয়ে আসেন। ওই মেয়েটি আমাদের বাসার সামনের দোকানের কর্মচারী ও বিভিন্ন লোকের সাথে নানান অপকর্মে লিপ্ত হতো। তা দেখে আমার ভাই মহিলা ও তার মেয়েকে শাসাতেন। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ওই মেয়েটি তার প্রেমিক ও দোকান শ্রমিক আব্দুল মান্নানের সাথে ঢাকায় পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বাসা থেকে আমার ভাইয়ের নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে মেয়ের মা ও তার মেয়ে ও আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে জুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই আউয়াল তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় সমাধান হয়।

তিনি আরও বলেন, কয়েকমাস পর মেয়েটি ফিরে এসে আবারও আমাদের বাসায় তার মায়ের কাছে আসে। তাকে দেখে আমার ভাই রাগান্বিত হয়ে তাকে গালিগালাজ করে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেন। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন মানুষের প্ররোচনায় কয়েকদিন পর আমার ভাইয়ের উপর জুড়ী থানায় একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এর আগে ওই মেয়েটি আমাদের প্রতিবেশী এক বাসায় কাজের সুবাদে বাজারের বিভিন্ন দোকানের কর্মচারী, দোকান শ্রমিক ও পথচারীদের সাথে অবাধে মেলামেশা করতো। এছাড়া উপজেলার উত্তর ভবানীপুর গ্রামে একজনের বাড়িতে সে কাজ করতো। তখন ওই বাড়ির প্রতিবেশী এক ভাড়াটিয়ার সাথে প্রেমের অভিনয় করে তাকে ফাঁসাতে চায়। পরে ওই ব্যক্তি তার মাকে ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেন।

তিনি বলেন, শামসুজ্জামান রানু একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ। নিয়মিত ধর্মকর্ম পালনের পাশাপাশি হজ্ব ও করেছেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও দাতার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এসব কর্মকাণ্ডে হিংসাপরায়ণ হয়ে একটি মহল নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারই অংশ হিসেবে তাদেরই প্ররোচনায় এ মিথ্যা সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাই এবং আমার ভাইয়ের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

এ সময় জায়ফর নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির দারা, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ আল আজাদ সোহাদসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্রভাবে অনুসন্ধান এবং কারো কোন বক্তব্য নেওয়া হয়নি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.