শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি | ০৩ অক্টোবর, ২০২৫
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে হঠাৎ করেই গাড়ি পার্কিংয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন বিভাগ। পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষার কারণ দেখিয়ে জাতীয় উদ্যান এলাকায় যানবাহন পার্কিংয়ের উপর এমন আকস্মিক নিষেধাজ্ঞার ফলে লাউয়াছড়ায় আসা পর্যটকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এমন পরিস্থিতিতে পর্যটক নিয়ে আসা যানবাহনের চালকেরা সড়কের উপরেই গাড়ী পার্কিং করে রাখতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সরেজমিন স্থানীয় ও পর্যটকদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পূর্বে লাউয়াছড়ার প্রধান ফটকের পাশে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গার ব্যবস্থা থাকলেও কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সম্প্রতি সেই সুবিধা বাতিল করে No Parking সাইনবোর্ড স্থাপন করে বনবিভাগ। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের নিজেদের গাড়ি বা ভাড়া করা যানবাহন এখন কমলগঞ্জ - শ্রীমঙ্গল সড়কের দুপাশে পার্ক করতে হচ্ছে, যা পর্যটকদের জন্য তৈরি করছে বড় ধরনের ভোগান্তি।
জানা যায়, সম্প্রতি বন বিভাগ লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের প্রবেশদ্বারের পাশে ‘I LOVE KAMOLGONJ ইংরেজিতে লিখা একটি ফলক তৈরি করেছে। মূলত পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে, যে জায়গায় এই ফলক তৈরি করা হয়েছে সেখানে উদ্যানে আগত পর্যটকেরা গাড়ি পার্কিং করে রাখতেন। গত ১ অক্টোবর থেকে কোন ধরনের পূর্ব নির্দেশনা ছাড়াই কর্তৃপক্ষ গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ করে দেয়। তবে বৃহস্পতিবার লাউয়াছড়ায় যানবাহনের সংখ্যা বেশী হওয়ায় এ নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও অনেক চালককে গাড়ি পার্কিং করতে দেখা গেছে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে আগত পর্যটকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা টিকেট কেটে উদ্যানের ভেতর প্রবেশ করি। আমাদের গাড়ি পার্কিং এর জায়গায় বিকল্প কোন ব্যাবস্থা না রেখে হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। আমাদের গাড়ি পার্কিং করতে হচ্ছে অনেকদূর সড়কের উপরে। কয়েকজন গাড়ি পার্কিং এর সুযোগ না পাওয়ায় ফিরে গেছেন। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের টিকেট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা মতিন মিয়া বলেন বনবিভাগ গাড়ি পার্কিং নিষেধাজ্ঞা জারির পর গতকাল থেকে যানবাহন পার্কিং এর টিকেট বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামিল মোহাম্মদ খান বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশে আপাতত লাউয়াছড়া গাড়ি পার্কিং বন্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আবার আলোচনা করছি যাতে কোন পর্যটক ভোগান্তিতে পড়তে না হয়।