Sylhet Today 24 PRINT

সিলেটে আ. লীগ নেতা হত্যা: একেক সময় একে তথ্য দিচ্ছেন ছেলে, ফের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ০৯ নভেম্বর, ২০২৫

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তার ছেলে আসাদ আহমদকে রিমান্ডে এনেও কোন তথ্য পায়নি পুলিশ। রিমান্ডে আসাদ আহমদ একে সময় একেক তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ অবস্থায় আসাদ আহমদকে পুণরায় রিমা্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক শরিফুল হকের আদালতে ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। সোমবার (১০ নভেম্বর) আদালতে রিমান্ড শুনানী কথা রয়েছে বলে আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এরআগে, গত ৪ নভেম্বর দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে আসে। তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

রিমান্ডে থাকাকালিন হত্যা মামলার আসামি নিহতের ছেলে আসাদ আহমদ পুলিশের কাছে একেক সময় একেক ধরণের তথ্য দিয়েছেন।

পুলিশের দায়ের করা হত্যা মামলায় নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১ নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এসময় আদালতে আসাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

সোমবার (৩ নভেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে রিমান্ড শুনানী শেষে আসাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধারের সময় পেট, বুক ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাতের গভীর চিহ্ন পাওয়া গেছে। একই সাথে লাশের পাশ থেকে একটি ২২ ইঞ্চি লম্বা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত আবদুর রাজ্জাকের এক ছেলে ও এক মেয়ে। দুজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। সন্তানদের মধ্যে মাস দুয়েক আগে সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারাও করে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি। চিকিৎসার জন্য ভারতেও গিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে একটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার। মামলা থাকলেও তিনি নিজ বাড়িতেই অবস্থান করতেন।

বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে লাশ উদ্ধারের আগপর্যন্ত নিহত ব্যক্তির বাড়িতে কাউকে ঢুকতে কিংবা বাহির হতে দেখা যায়নি। এর মধ্যে শুধু ওই বাড়ির গৃহকর্মী সকাল আটটার দিকে বাড়িতে ঢোকেন। তিনি বাড়িতে যাওয়ার পর আবদুর রাজ্জাককে তার কক্ষে পাননি। একপর্যায়ে সিঁড়ির ঘরে লাশটি দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এ সময় সিঁড়ির দরজা তালাবদ্ধ ছিল, সিঁড়ির চাবি আবদুর রাজ্জাকের কাছেই ছিল।

এদিকে, নিহত আব্দুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা না করায় দক্ষিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ারুল কামাল হত্যা মামলাটি করেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নাম মামলার বিবরণে সন্দেহজনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
✉ sylhettoday24@gmail.com ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.