নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
সিলেট–ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের লালমাটিয়ায় রয়েল সিটি আবাসিক এলাকার পাশে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত নোহা মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাইক্রোবাসের চালককে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় গোলাপগঞ্জ থানাধীন পুরকায়স্থ বাজার হতে চালক কাইয়ূমকে গ্রেপ্তার করা হয়। চালকের স্বীকারোক্তিতে সন্ধ্যা ৬টায় গোলাপগঞ্জ থানাধীন লরিফর গ্রামের একটি গ্যারেজ হতে ডাকাতিতে ব্যবহৃত নোহা গাড়ি (ঢাকা মেট্টো চ- ১৫-২২৮৩) উদ্ধার করা হয়েছে।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুল হাবিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার রাত ৩ টার লালমাটিয়া, রয়েল সিটি আবাসিক এলাকা সংলগ্ন সিলেট–ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেড-এর একটি কাভার্ড ভ্যানকে একটি সাদা নোহা গাড়ি ব্যারিকেড দেয়। নোহা ও একটি সাদা প্রাইভেট কার হতে ৬/৭ জন সশস্ত্র ডাকাত দল স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেড-এর চালক ও হেলপারকে মারধর করে কনটেইনার খুলে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় তারা গাড়ির হেলপারদের কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
পুলিশ জানায়, ডাকাতির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে পুলিশ দক্ষিণ সুরমার পশ্চিমভাগ আবাসিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত সাকেল আহমদ (৩৩) কে তার শশুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাকেলের তথ্য মোতাবেক ওই রাতেই পূর্ব শ্রীরামপুর এলাকা থেকে আক্তার হোসেন (৩৪) এবং সুলতানপুর এলাকা থেকে রিহাদ আহমেদ (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল হাসান জানান, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনেই উপস্থিত লোকজনের সামনে ডাকাতির ঘটনাটি স্বীকার করে। পরবর্তীতে মঙ্গলবার ভোরে আসামিদের দেওয়া তথ্য মতে, আটক রিহাদ আহমেদের বাড়ির বাউন্ডারি ভেতরে কচুর ঝোপের ভিতরে লুকানো ৩টি সাদা প্লাস্টিকের বস্তা ও ২টি কালো পলিথিনের বস্তা এবং ২টি খাকি রঙের কার্টুনে থাকা ডাকতির মালামাল উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, আসামিরা স্বীকার করেছে, তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য এবং সিলেট মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত ডাকাতি করে আসছিল। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিরদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।