Sylhet Today 24 PRINT

সৌদিতে আততায়ীর গুলিতে বড়লেখার আতা মিয়া খুন

জীবিকার তাগিদে চৌদ্দ বছর আগে সৌদিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ২নং ওয়ার্ডের কুমারশাইল গ্রামের মৃত ওয়াতির আলীর পুত্র আতা মিয়া (৫৫)।

তপন কুমার দাস, বড়লেখা |  ০২ মার্চ, ২০১৫

রোববার (২মার্চ) সকালেই ঘুম থেকেই উঠেই সৌদিতে আততায়ীর বন্দুকের গুলিতে বাবা আতা মিয়ার মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন আতা মিয়ার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। প্রতিবেশী ও স্বজনদের কোন কিছুই তাদেরকে স্বান্তনা দিতে পারছেনা। তাদের কান্নার রোলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বছর ছয়েক আগে শেষবারের মতো দেশে এসেছিলেন আতা মিয়া। এর দুই বছর পর আতা মিয়ার স্ত্রী মারা গেলে সন্তানেরা মা হারা হয়ে যান।   
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে চৌদ্দ বছর আগে সৌদিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ২নং ওয়ার্ডের কুমারশাইল গ্রামের মৃত ওয়াতির আলীর পুত্র আতা মিয়া (৫৫)।
গত শনিবার (১ মার্চ) সৌদির স্থানীয় সময় রাত আনুমানিক দুইটার দিকে সৌদি আরবের আল কোম্পদা এলাকায় গভীর রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা শয়নকক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে আতা মিয়াকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। বর্তমানে আতা মিয়ার লাশ সৌদি আরবের হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।  
 নিহত আতা মিয়ার বড় ছেলে মাসুম জানায়, আমার বাবা মারা যাওয়ায় আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। আমাদের ভরন-পোষনের দায়িত্ব এখন কে নেবে ? আমি আমার বাবার খুনীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।’  
কাদির নামে নিহতের এক স্বজন ও শাহবাজপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লোকমান উদ্দিন জানান, নিহত ব্যাক্তিসহ তারা মোট ৫জন একই রুমে থাকতেন। রাত ২টার দিকে কেউ একজন এসে আতাকে ডাক দিলে পরিচিত ভেবে দরজা খুলতেই গুলি করে পালিয়ে যায় বন্দুকধারী। আমরা আতার খুনের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।  

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.