Sylhet Today 24 PRINT

সিটি মার্কেটে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা ভাঙার কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ১০ মে, ২০১৬

নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণের উদ্যোগ হিসেবে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) তাদের নিজস্ব মালিকানাধীন সিটি সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলা অপসারণের কাজ শুরু করেছে।

মঙ্গলবার (১০ মে) বেলা ১১ টা থেকে এ কাজ শুরু হয়। প্রথম দিন মার্কেটের তৃতীয় তলা থেকে এ কাজ শুরু হয়। তৃতীয় তলায় রয়েছে ১৪ টি দোকান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট  সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এই বাণিজ্যিক ভবনটি ভাঙার জন্য ভবনের ব্যবসায়ীদের বেশ কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ ভবনটির ৩য় তলার ১৪ থেকে ২০ টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ দোকান ভাঙার কাজ চলছে। পরবর্তীতে পুরো ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে এজন্য ব্যবসায়ীরা কিছুটা সময় চেয়ে নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজ সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ইতিমধ্যে সিসিকের পক্ষ থেকে নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভাঙার আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে তাতিঁপাড়ার একটি ভবন ও শাহী ঈদগাহে্ একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙা হয়েছে। আজ ১৪ টি দোকান কোটা ভাঙা হবে। বাকী ভবন ভাঙার জন্য আড়াই মাস সময় দেওয়া হয়েছে।

এ সময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব ও প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

এর আগে, সিসিকের পক্ষ থেকে সিটি সুপার মার্কেট কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারিকে নোটিশ দিয়ে আগামী ১০ মের মধ্যে তৃতীয় তলার দোকান অপসারণের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। ১০ মে’র মধ্যে অপসারণ না করলে ঐদিন সিটি কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তৃতীয় তলা অপসারণের কাজে নামবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, সিটি কর্পোরেশন থেকে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী এবং মার্কেট কর্তৃক নিয়োজিত বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী সিটি সুপার মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী হিসেবে প্রকৌশলী জামাল আশরাফ, প্রকৌশলী ড. জহির বিন আলম, প্রকৌশলী বসন্ত কুমার সিনহা পর্যায়ক্রমে যে রিপোর্ট দিয়েছেন সেই রিপোর্টে এই মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.