Sylhet Today 24 PRINT

জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে বানিয়াচংয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারণায় ব্যস্ত

বানিয়াচং প্রতিনিধি |  ১০ অক্টোবর, ২০১৬

ডিসেম্বরেই দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ও আচরণ প্রণয়নে ব্যস্ত রয়েছে সংস্থাটি।

১৯৮৯ সালে তিন পার্বত্য জেলায় একবারই সরাসরি নির্বাচন হয়েছিল। আর কোন জেলায় নির্বাচন হয়নি। পাঁচ বছর মেয়াদী জেলা পরিষদগুলোতে বর্তমানে অনির্বাচিত প্রশাসক দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ৬১ জেলায় আওয়ামীলীগের জেলা পর্যায়ের নেতাদের নিয়োগ দেয় সরকার।

ইসি’র নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার সূত্র থেকে জানা যায়, ডিসেম্বরের শেষ দিকেই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে বিভিন্ন বিধান প্রণয়নের সঙ্গে সঙ্গে মনোনয়ন ফরম কেমন হবে তা নিয়েই আলোচনা হচ্ছে এখন। তবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দলীয় ও সদস্য প্রার্থী নির্দলীয় নির্বাচন হবে বলে জানা গেছে। অক্টোবরের মধ্যেই হয়তো বিধিমালা প্রণয়নের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

এদিকে জেলা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বানিয়াচংয়ের রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম হয়ে উঠেছে। সম্ভাব্য সদস্য প্রার্থীরা ৭টি ইউনিয়নে তাদের অবিরাম প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ছাড়াও সরকার দলীয় নেতা ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের সান্নিধ্য পেতে প্রার্থীরা প্রতিদিনই ধরনা দিচ্ছেন তাদের কাছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তাছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি’র) কয়েক নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন হাইকমান্ডের নির্দেশ পেলে এই নির্বাচনে অংশ নেব। তবে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি।

স্থানীয় সরকারের অন্য সব পদে দলীয় ভিত্তিতে ভোট হলেও জেলা পরিষদে দলীয় প্রতীক থাকছে না। ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচনের জন্য ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণে বিধিমালা করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবেন। ২৫ বছর বয়সী বাংলাদেশের যে কোন ভোটার জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারলেও ভোট দিতে পারবেন না।

পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন পরোক্ষ ভোটে। প্রতিটি জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি কর্পোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার হবেন। তাদের ভোটেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত হবেন। অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও তাদের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। প্রায় ইউনিয়নে সদস্যরা ভোটারদের সাথে শারদীয় পূজার শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি তাদের প্রার্থিতার কথা বলে ভোট চাচ্ছেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.