Sylhet Today 24 PRINT

২৯ বছর পর ‘নিজগৃহে’ ফিরলেন রাধামাধব!

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ১০ নভেম্বর, ২০১৭

প্রায় ২৯ বছর পর তারাপুর চা বাগানে ফিরলো রাধামাধবের মূর্তি। শুত্ক্রবার দুপুরে ইসকন মন্দির থেকে শতবর্ষী রাধামাধবের মূর্তি নিয়ে তারাপুর চা বাগানে ফেরেন সেবায়েত পঙ্কজগুপ্ত।

হাজার কোটি টাকা সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান রাধামাধব দেবতার নামেই দানকৃত। অথচ এতোদিন দেবতাই ছিলেন অন্যঘরে। সেবায়েতের হাতছাড়াও হয়ে যায় সম্পত্তি। প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে শিল্পপতি রাগীব আলী দখল করে নেন এই সম্পত্তি। এরপর আদালতের রায়ে গতবছরের মে মাসে তারাপুর চা বাগানের ৩২৩ একর ভূমি রাগীব আলীর দখল থেকে উদ্ধার করে সেবায়েত পঙ্কজ গুপ্তকে বুঝিয়ে দেয় প্রশাসন। বাগান বুঝে পাওয়ার প্রায় দেড় বছর পর দেবতার মূর্তিও ফিরে পেলেন পং্কজ।

 শুক্রবার বেলা ১২টায় নগরীর কাজলশাহ এলাকার আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) থেকে এ মূর্তি তারাপুর চা বাগানের রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে প্রতিস্থাপন করা হয়।

ইসকন থেকে রাধামাধবের মূর্তি নিয়ে আসার সময় ওই মন্দিরে বিষাদময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ভক্তদের অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। অপরদিকে, তারাপুর চা বাগানের মন্দিরে রাধামাধবের মূর্তি নিয়ে আসার পর দেখা যায় উৎসবের আমেজ। ঢোল-মৃদঙ্গ বাজিয়ে উলুধ্বনি আর কীর্তনের মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয় রাধামাধবকে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় এ মূর্তি পূর্বের স্থানে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ পঙ্কজ কুমার গুপ্তর কাছে ১০২ বছর পূর্বের এ মূর্তি হস্তান্তর করেন ইসকন বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ও ইসকন সিলেটের অধ্যক্ষ নবদ্বীপ গৌরাঙ্গ দাস ব্রক্ষচারী। মূতি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সৈয়দ মোহাম্মদ আমিনুর রহমান, জেলা প্রশাসকের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর কাজী আরিফুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজিত চৌধুরী।

ইসকন সিলেটের অধ্যক্ষ নবদ্বীপ গৌরাঙ্গ দাস ব্রক্ষচারী বলেন, রাধা মাধবের সেবায় যদি কোন ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে আমাদের ক্ষমা করবেন।

তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত সূত্রে জানা গেছে,  ১৯১৫ সালে তারাপুর চা বাগানের বাগানের তৎকালীন মালিক বৈকুণ্ঠ চন্দ্র গুপ্ত শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ জিউ দেবতার নামে দান করেন পুরো চা বাগান । ১৯১৫ সালে তারাপুর চা বাগানের রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে রাধা মাধবের এ মূর্তি পূজা করা হতো। ১৯৮৮ সালে চা বাগানের সেবায়েত কাজলশাহ এলাকার তৎকালিন যুগলটিলা আখড়া কমিটির কাছে ২ বছরের জন্য মূর্তি সেবার দায়িত্ব দিয়ে যান। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে যুগলটিলা আখড়ায় ইসকন মন্দির স্থাপিত হয় সে সময় থেকেই মূর্তি সেবার দায়িত্ব নেন ইসকন কর্তৃপক্ষ।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.