Sylhet Today 24 PRINT

মাশুল কমানোর দাবিতে তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি |  ২৩ নভেম্বর, ২০১৭

তামাবিল স্থলবন্দরে মাশুল কমানোর জন্য অনির্দিষ্ট কালের জন্য সকল প্রকার পণ্য ও পাথর আমদানী রফতানি বর্জন করেছে বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়ীরা।

এ বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যায় তামাবিল স্থল বন্দর কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে তারা এ ঘোষণা দেন।

তামাবিলের একাধিক ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, গত ২৭ অক্টোবর তামাবিলের পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর চলতি মাসের ৬ তারিখ থেকে ভারত থেকে যে সকল পাথর বা পণ্য আমাদানি করা হয়েছে সেগুলো থেকে টন প্রতি বাড়তি দুইশ’ টাকা করে আনুষাঙ্গিক চার্জ (মাশুল) হিসেবে সরকারকে দিতে হচ্ছে। সে অনুযায়ি একজন আমদানিকারকের পাঁচ টনের একটি পাথর বোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলে সে ট্রাক থেকে ১ হাজার টাকা বন্দর মাশুল হিসেবে বন্দরের মাশুল পরিশোধ করতে হচ্ছে।

এছাড়াও প্রতি শুক্র ও শনিবার ভারত থেকে যে পাথর বা পণ্য আমদানি করা হয় সে আমদানি করা পণ্যের একটি বিলের বিপরীতে হলিডে চার্জ হিসেবে অতিরিক্ত আরও ১৬শ’ টাকা করে দিতে হচ্ছে। এতে করে প্রতিনিয়তই লোকসানের সম্মূখীন হয়ে পড়ছেন তামাবিল স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীরা।

তামাবিল পাথর, চুনা পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন সেদু বলেন, তামাবিল স্থল বন্দরের নানান রকম ঝামেলা শেষে যখন পূণরায় পাথর আমদানি চালু হয়েছে ঠিক তখনই আবার বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন অতিরিক্ত মাশুল। আর কর্তৃপক্ষের এই অতিরিক্ত মাশুল পরিশোধ করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই ব্যবসায়ীরা লোকসানের সম্মূখীন হচ্ছেন। তাই তারা সোমবার সন্ধ্যায় ব্যসায়ীদের লোকসান ঠেকাতে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করে বন্দরের মাশুল কমানোর জন্য দৃঢ় দাবী জানিয়েছিলেন। কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের কিছু করার নেই বলে তাদেরকে সাফ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাই সকল ব্যবসায়ীরা মিলে তামাবিল দিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পাথরসহ সকল প্রকার পণ্য আমদানি রফতানি বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে তামাবিল স্থল বন্দরের সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ জানান, সরকারের ট্যারিফ সিডিউল অনুযায়ী বন্দরের যে মাশুল নির্ধারণ করা রয়েছে সে অনুযায়ী মাশুল আদায় করা হচ্ছে। এর বাইরে এখানে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোন অতিরিক্ত মাশুল আদায় করা হচ্ছেনা। হলিডে চার্জের বিষয়ে তিনি বলেন একটি বিলের বিপরীতে ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ১৬শ’ টাকা নেওয়া হয় এটা সঠিক। এই বিষয়টিও সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া। সরকারী ছুটির দিনে অতিরিক্ত কর্মঘন্টার জন্য ট্যারিফ সিডিউল অনুযায়ি ওই টাকা নেওয়া হয়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.