সিলেটটুডে ডেস্ক | ০৭ মে, ২০১৮
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেছেন, অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে একটি ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় ফরমায়েশি সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেই ক্ষান্ত হয়নি, কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। এর মাধ্যমে সরকার আইন ও মানবাধিকারকে চরমভাবে লঙ্ঘন করছে।
সোমবার (৭ মে) বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কোন দুর্নীতি করেননি। শুধুমাত্র রাজনীতির ময়দান থেকে তাঁকে দুরে রাখতেই এই ফরমায়েশি সাজা দেয়া হয়েছে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী সাজার পরপরই বেগম জিয়ার জামিন পাওয়ার কথা থাকলেও সরকার তাঁকে মুক্তি না দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। আইন ও মানবাধিকারের প্রতি অবৈধ সরকারের ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে। অন্যথায় জাতি দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করবে।
মিছিলটি নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ সিটি সেন্টারের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।
মিছিলে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ ছাড়াও যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দল, জাসাস ও ওলামা দল সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকীর সভাপতিত্বে ও জেলা সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর সহসভাপতি হুমায়ুন কবির শাহীন, সহসভাপতি সালেহ আহমদ খসরু, জেলা সহসভাপতি একেএম তারেক কালাম, সহসভাপতি হাজী শাহাব উদ্দিন ও ফখরুল ইসলাম ফারুক, জেলা উপদেষ্টা শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, আহমেদুর রহমান চৌধুরী মিলু ও মহানগর উপদেষ্টা সৈয়দ বাবুল, জেলা সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, মহানগর সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত্ চৌধুরী সাদেক, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুক, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ময়নুল হক, বিএনপি নেতা নজিবুর রহমান নজিব, জেলা সাংগঠনিক আব্দুল আহাদ খান জামাল, আবুল কাশেম ও শামীম আহমদ, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল মোর্শেদ ও মাহবুব চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, মহানগর দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম আলো, জেলা দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট মো. ফখরুল হক, জেলা প্রচার সম্পাদক নিজাম উদ্দিন জায়গীরদার, জেলা শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সুরমান আলী, মহানগর শ্রম সম্পাদক ইউনুছ মিয়া, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. আশরাফ আলী, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক সুহাদ রব চৌধুরী, জেলা ধর্ম সম্পাদক আল মামুন খান, মহানগর আপ্যায়ন সম্পাদক আফজাল উদ্দিন, জেলা তাতী সম্পাদক অহিদ আহমদ তালুকদার, মৎস্য সম্পাদক আলী আকবর।
বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগি সংঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে শেখ মু. ইলিয়াস আলী, বজলুর রহমান ফয়েজ, হাবিবুর রহমান হাবিব, খসরুজ্জামান খসরু, সাঈদ আহমদ, লোকমান আহমদ, এম. এ মালেক, দিদার ইবনে তাহের লস্কর, নাসিম আহমদ চৌধুরী, আব্দুল লতিফ খান, এনামুল হক মাক্কু, শাহ মাহমুদ আলী, আব্দুল মালেক, সিরাজুল ইসলাম, খোকন ইসলাম, উজ্জল রঞ্জন চন্দ, কয়েস আহমদ সাগর ও আব্দুস সবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমুলক মামলার ফরমায়েশি রায়ে সাজা দিয়ে সরকার গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করার শেষ খেলায় মেতে উঠেছে। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে দেশপ্রেমিক জনতা গর্জে উঠেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোন নির্বাচন জাতি হতে দেবে না। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে নি:শর্ত মুক্তি দিতে হবে।