নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ মে, ২০১৮
গত ১৩ মে দুপুরে নগরীর জিন্দাবাজারের ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। হামলার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো এ ঘটনায় কোনো মামলা করেনি ভোজন বাড়ি কর্তৃপক্ষ।
এঅবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে রেস্টুরেন্টটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভোজনবাড়ির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝুনু চৌধুরী বলেন, হামলাকারীদের চেনা যায়নি, তাই মামলা করা হয়নি। কতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে।
ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টের সামনেই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। হামলাকারীর সামনের দিকে মিছিল নিয়ে এসেই ভাংচুর করে। তবু তাদের কেনো চেনা যায় নি- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরা ফুটেজে কারো মুখ স্পষ্ট নয়। তবু ফুটেজ পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।
১৩ মে ভাংচুরের পর প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি মিছিল থেকে রেস্টুরেন্টুটি ভাংচুর করা হয়। পুলিশও জানিয়েছিলো এমনটি।
এ ঘটনার পর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিঠু জানান, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করেন সেখানকার বিএনপি নেতা কয়ছর আহমেদ। ১৩ মে এই কটুক্তির প্রতিবাদে মিছিল বের করে জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এসময় অতিউৎসাহী কিছু কর্মী ওই রেস্টুরেন্টে ঢিল ছুঁড়ে থাকতে পারে।
কটুক্তিকারী কয়ছর আহমেদ ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টের একজন বিনিয়োগকারী বলে জানান মিঠু।
তবে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়- ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টের সাথে যুক্তরাজ্য প্রবাসী কয়ছর আহমদের ব্যবসায়িক কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টের তৃতীয় তলায় আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝুনু চৌধুরী বলেন, ১৩ মে রেস্টুরেন্টে কতিপয় দুর্বৃত্তের হামলার কারণ হিসেবে গণমাধ্যমে ওই ব্যক্তির রেস্টুরেন্ট মালিকানায় সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে ১২জন পরিচালকের উদ্যোগে ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে ১০জন পরিচালক রয়েছে। তাদের কারো সাথে কয়ছর আহমদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে বলে আমাদের জানা নেই।
হামলায় রেস্টুরেন্ট আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা অস্ত্র হাতে এ রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করেছে। তখন রেস্টুরেন্টে অবস্থানরত গ্রাহক ও কর্মচারীরা প্রাণ রক্ষার্থে দিকবিদিক ছুটাছুটি করে। আকস্মিক হামলায় তারা অত্যন্ত ভীত-সন্ত্রস্ত হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিচালকদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সাবেক পরিচালক এটিএম শোয়েব, মো. তোরাব আলী, মো. লুৎফুর রহমান চৌধুরী, মো. লিলু মিয়া, শিপন দেব, শাহ কয়েস আহমদ চৌধুরী।