Sylhet Today 24 PRINT

টিসিবির পণ্য থেকে বঞ্চিত সুনামগঞ্জের ভোক্তারা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি |  ১৯ মে, ২০১৮

পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায় গত ৬ মে থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রয় শুরু হলেও এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সুনামগঞ্জের ক্রেতারা। সুনামগঞ্জের কোথাও টিসিবির পণ্য তোলেননি ডিলাররা। এ কারণে রমজানের শুরুতে কম দামে নিত্য পণ্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সুনামগঞ্জের ভোক্তারা।

রমজানে কম দামের দ্রব্যমূল্য সরবরাহ করা এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে টিসিবি’র পণ্য ১২ শ’ কেজির স্থলে সাড়ে ৪ হাজার কেজি করলেও পণ্য তুলছেন না সুনামগঞ্জের ডিলাররা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলার ২০ ডিলারের একজনও টিসিবির পণ্য তোলেননি।

গত ৬ মে থেকে সিলেট শহরে ৫ টি, মৌলভীবাজারে ২ টি, হবিগঞ্জে ১ টি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ টি ট্রাকে টিসিবির সিলেটের আঞ্চলিক অফিস (শেরপুর থেকে) থেকে পণ্য বিক্রয় করা হলেও সুনামগঞ্জ শহরে এই কার্যক্রম নেই। শহরে কোন টিসিবি ডিলারও নেই। আশপাশের ডিলাররাও ট্রাকে করে টিসিবি পণ্য বিক্রয় করতে আগ্রহী নয়।

সুনামগঞ্জ জেলায় টিসিবির ডিলার রয়েছেন ২০ জন। তারা হলেন- জগন্নাথপুরের মেসার্স পলাশ ট্রেডার্স, মেসার্স সুমন ট্রেডার্স, মেসার্স সোহেল ট্রেডার্স, শাহ্ মিয়াধন ট্রেডার্স, দোয়ারাবাজারের আমবাড়ী’র দুর্গা ভা-ার, শাল্লার শ্রীপালি ভা-ার, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জয়নগর বাজারের মেসার্স জীসপ সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের নোয়াখালী বাজারের মেসার্স সেবা টেলিকম, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা বাজারের মেসার্স হাবিবুর রহমান, দোয়ারাবাজারের মেসার্স বিনয় ট্রেডার্স, একই উপজেলার বাংলাবাজারের হাজী সামছুল হক এ- সন্স, জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টের মেসার্স দি মোহাম্মদীয়া ট্রেডার্স, সুনামগঞ্জের মধ্যনগরের মেসার্স মায়া ট্রেডার্স, বিশ্বম্ভরপুরের মেসার্স সৌখিন নির্মাণ সংস্থা ও সরবরাহকারী, দিরাই উপজেলার মেসার্স স্টার এন্টারপ্রাইজ, ছাতকের জাউয়া বাজারের মেসার্স আলী এন্টারপ্রাইজ, একই উপজেলার আলীগঞ্জ বাজারের মেসার্স হাসনাত ট্রেডার্স, ছাতকের বুড়াইরগাঁও বাজারের মেসার্স শমসের এন্টারপ্রাইজ এবং জামালগঞ্জের মেসার্স শাহরিয়া ট্রেডার্স। এরা এখনও (শুক্রবার পর্যন্ত) পণ্য তুলেননি।

দোয়ারাবাজারের মেসার্স বিনয় ট্রেডার্সের বিনয় চক্রবর্তী বললেন,‘ দোয়ারাবাজারের সড়ক যোগাযোগ বেশি খারাপ হয়ে যাওয়ায় ট্রাক আসতে চায় না, ভাড়া বেশি চায়, এছাড়া টিসিবির পণ্য এবং বাজারের পণ্যের দাম প্রায় সমান সমান হওয়ায় ডিলাররা মাল তুলতে আগ্রহী নয়।’

তিনি জানান, টিসিবির চিনির মান খারাপ নয়, কিন্তু দেখতে ভাল না হওয়ায় এই চিনিও গ্রাহকরা নিতে চান না। গত বছর চিনি তুলে কেনা দামে বিক্রি করতে হয়েছে।

টিসিবি’র সিলেট আঞ্চলিক অফিসের (শেরপুর অফিস) কম্পিউটার অপারেটর মো. কামরুজ্জামান জানান, রোববার থেকে টিসিবির চিনি ৫৫ টাকা, ডাল ৫০ টাকা, ছোলা ৬৫ টাকা এবং তেল ৮৫ টাকায় বিক্রি হবে। প্রতি ডিলার চিনি ১ হাজার কেজি, ডাল ১ হাজার কেজি, ছোলা দেড় হাজার কেজি এবং সোয়াবিন ১ হাজার লিটার তুলতে পারবেন। ডিলাররা এসব মালামালে প্রতি কেজিতে ৪ টাকা করে লাভ পাবেন। এই লাভের অংশ থেকে পরিবহন ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় বহন করতে হবে।

টিসিবি’র সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান মো. ইসমাইল মজুমদার বলেন,‘গত ৬ মে থেকে সিলেট শহরে ৫ টি, মৌলভীবাজারে ২ টি, হবিগঞ্জে ১ টি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ২ টি ট্রাকে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে, সুনামগঞ্জে টিসিবির ডিলার নেই, আশপাশের ডিলাররা বলছেন, ওখানে ট্রাকে করে মালামাল নিয়ে বিক্রি করে পুষানো যাবে না। এজন্য তারা বিক্রি করছেন না। শহরে আগ্রহী ডিলার পেলে সহজ শর্তে আমরা ডিলার নিয়োগ দিতে আগ্রহী, কিন্তু ডিলার পাওয়া যাচ্ছে না।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.