Sylhet Today 24 PRINT

ফেঞ্চুগঞ্জে কর্মসৃজন প্রকল্প নিয়ে লুকোচুরি!

ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি |  ২৩ মে, ২০১৮

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ১ নং সদর ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামে চলতি বছরে জনসাধারণের যাতায়াত সুবিধা দিতে কর্মসৃজন প্রকল্প নিয়ে চলছে লুকোচুরি। অভিযোগ ওঠেছে চলতি বছরের এ প্রকল্প বাবদ সাত লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও বাস্তবে এ টাকার কোন অস্তিত্ব নেই।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ১ নং সদর ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়কের কিছু অংশ পানিতে ডুবে আছে। এসময় কর্মসৃজনের প্রকল্পের কর্মীদের দেখা গেল না।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে স্থানীয় এক বাসিন্দা আব্দুল হক জানান, বর্তমানে এখানে যতটুকু সড়ক আছে তা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে করা হয়েছে । এখানে কোন সরকারী বরাদ্দের কথা আমাদের জানা নেই।

রাস্তার কাজের ব্যাপারে সদর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজি বদরুদ্দোজার সাথে আলাপকালে প্রথমে তিনি সাত লক্ষ টাকা বরাদ্দের  বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে তিনি বলেন,  এই সড়ক নির্মাণকালে সাবেক মেম্বার বাচ্চু মিয়া ব্যক্তিগত ভাবে ১ লক্ষ টাকা তাঁর হাতে তুলে দিলে তিনি সড়ক নির্মাণের স্বার্থে তিনি তা ব্যায় করেন।

পরে এ ব্যাপারে বাচ্চু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকার ব্যাপার পুরোটাই অস্বীকার করে বলেন, এই টাক ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। তিনি বলেন আমি ঐ ওয়ার্ডের মেম্বারই না টাকা দেওয়া বা কাজ করানো আমার কাজ নয়।

অপরদিকে জানা যায় এই কর্মসৃজন প্রকল্প ছিল সদ্য পরাজিত চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মুরাদের। এ ব্যাপারে জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জানা যায়, এ প্রকল্পে প্রতিদিন ৯৫ জন শ্রমিকে কাজ করার কথা থাকলেও কাজ করেন মাত্র ১৫ জন শ্রমিক।

এব্যাপারে চেয়ারম্যান বদরুদ্দোজা বলেন, সরকারি হিসাবে শ্রমিক মজুরি ১৮০ টাকা কিন্তু এ টাকায় শ্রমিক পাওয়া যায় না ৫০০ টাকা করে দিতে হয় তাই ৯৫ জন শ্রমিকের জায়গায় আমরা  ১৫ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করাচ্ছি।

তবে চেয়ারম্যান বদরুদ্দোজা এ কথাতেও থেকে যায় গরমিল। তাঁর হিসেব অনুযায়ী ৫০০ টাকা করে ১৫ জন শ্রমিকে দৈনিক ৭৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে। কিন্তু সরকারি হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন দেয়ার কথা রয়েছে ১৭১০০ টাকা।

এসব ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ( পি,আই,ও) বাধন সরকার বলেন, এ বিষয় সম্পর্কে কিছুই আমার জানা ছিল না। তবে এখন থেকে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.