ছাতক প্রতিনিধি | ২৬ মে, ২০১৮
ছাতকে ইমাম সংক্রান্ত বিষয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ মে) বাদ জুম্মা শহরের নোয়ারাই এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত মিজু চৌধুরী (৪০) ও সাজেদ চৌধুরী (২০) কে সিওমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এছাড়া সমর চৌধুরী (১৬), আব্দুল আহাদ চৌধুরী (২৫), দোলায়ার হোসেন চৌধুরী (২৭), জামিল মিয়া (৩০), কামাল মিয়া (৪৬), বাদশা মিয়া (২৩), আলী শাহ (১৯), ইমন (১৭), সায়েক মিয়া (২৩), নিজাম উদ্দিন (২৭), বাদশা কালা (২৭), ইমরান লাল (১৮), রফিক (২২), আমির হোসেন (২৬), আফজল (২৫), মঞ্জু (২৩), সুহেল (২১), বিরহাম উদ্দিন (৩৫), রুবেল মিয়া (২৩), ইসলাম উদ্দিন (২২), আনোয়ার হোসেন (২৫), অনিক (১৫), সায়েম আহমদ (১৮)সহ অন্যান্য আহতদের ছাতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মসজিদের ইমাম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পশ্চিম নোয়ারাই গ্রামের জামাল চৌধুরী পক্ষ ও মঈন উদ্দিন পক্ষদ্বয়ের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরে বুধবার রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। সেই ঘটনায় ১০ জন আহত হন।
এ ঘটনার পর স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ মধ্যস্থতা করে সালিশে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন।
পরবর্তীতে শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে উভয় পক্ষের লোকজন ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষ ব্যাপক ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায়।
খবর পেয়ে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় জামাল চৌধুরী পক্ষের শাহীনুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে ছাতক থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ছাতক থানা অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।