Sylhet Today 24 PRINT

হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৬

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ এলাকার নগর গ্রামে পবিত্র আশুরার তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ দারুল উলুম হুসাইনিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা আশরাফ আলী দেওবন্দি বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।

এ মামলায় শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাদের সিলেট কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- নগর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে শাহ আলম ও আমিনুল ইসলাম আমিন, একই গ্রামের সমসু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম, ইসলাম উদ্দিন, জবরুল ইসলাম ও সাদিকুল ইসলাম।

এদিকে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের মামলাটি মিথ্যা বলে মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, শিয়া সম্প্রদায়ের গ্রেপ্তার হওয়া যুবক শাহ আলমের বাবা আব্দুল জলিল। তিনি বলেন, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা মাদ্রাসা ছাত্রদের নিয়ে পবিত্র আশুরার তাজিয়া মিছিলে হামলা করে। এতে আমাদের অনেকে আহত হয়েছেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। পুলিশ আমার ছেলেদের ও ভাতিজাদের হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম ফজলুল হক শিবলী বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরচেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।

প্রসঙ্গত, ঢাকা দক্ষিণ এলাকার নগর গ্রামে সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে সংখ্যালঘু শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের বিরোধ চলছে দীর্ঘ বছর থেকে। এরমধ্যে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন পবিত্র আশুরার তাজিয়া মিছিল বের করলে ঢাকা দক্ষিণ দারুল উলুম হুসাইনিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা আশরাফ আলী দেওবন্দি ও আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে মাদ্রাসার ছাত্ররা মিছিলে অস্ত্রসহ হামলা চালায়।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.