Sylhet Today 24 PRINT

‘মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতনের ছক তৈরি করেছিলেন এমপি কয়েস’

সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার চেয়ারম্যানের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ১৫ অক্টোবর, ২০১৮

সিলেট-৩ সংসদীয় আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ কয়েসকে রাজাকারপুত্র হিসেবে অভিহিত করে তার উন্নয়নবিমুখীতার কারণে দক্ষিণ সুরমার উন্নয়ন হচ্ছে না জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাহিদ।

সোমবার (১৫ অক্টোবর) সকালে সিলেটের একটি হোটেলের সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করেন সিলেট আওয়ামী লীগের এ নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা শান্তি কমিটির আহবায়ক ছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ কয়েসের পিতা মৃত দেলোয়ার হোসেন উরফে ফিরু রাজাকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় নিরীহ নারীদের নির্যাতন, স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হত্যা ও অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে বর্তমান এমপির পিতা ফিরু রাজাকারের তালিকা অনুযায়ী।

সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি বলেন, এই এমপি কয়েসও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাকবাহিনীর স্থানীয় কমান্ডার ক্যাপ্টেন আনসারীর জলপাই রঙের গাড়ি চড়ে ফেঞ্চুগঞ্জের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়িয়ে নির্যাতনের ছক তৈরি করেছিলেন স্থানীয়ভাবে।

তিনি বলেন, এছাড়াও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট কর্তৃক প্রকাশিত ও মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক কর্তৃক মোড়ক উন্মোচিত ‘রণাঙ্গনে ৭১’ বইয়ে রাজাকারের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে এমপি কয়েসের পিতা দেলোওয়ার হোসেন ফিরুর শান্তি কমিটির আহবায়ক থাকার কথা।

এমপি কয়েস স্থানীয় বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে গোপনে প্রকাশ্যে ভূমিকা পালনে করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন আবু জাহিদ।

তিনি বলেন, এমপি কয়েসের কারণে সিলেট-৩ আসনের দুটি উপজেলায় জামায়াত মনোনীত দুজন প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন।

স্থানীয় সাংসদের অনীহার কারণে দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে দাবি করে আবু জাহিদ বলেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা এডিপির প্রায় ১ কোটি টাকা ফেরত যায় এমপি কূটকৌশলের কারণে। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ থেকে ১ কোটি ২২ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার প্রকল্প পরিষদে গৃহীত হলেও কাজ শুরু হওয়ার আগেই তিনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বর্তমান এমপি বিনাভোটে নির্বাচিত এমপি। গত নির্বাচনে তিনি বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিনা ভোটে নির্বাচিত বলেই তিনি সাধারণ জনগণকে তোয়াক্কা করেন না। তাকে সবক্ষেত্রেই প্রতিহত করতে হবে।

আবু জাহিদ বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের কর্মীরা এমপি কয়েসের কারণে দিশেহারা। তারা সবকিছু ছাড় দিতে পারবে, কিন্তু রাজাকার পুত্রের নৌকার মনোনয়ন কোন অবস্থায় মেনে নিতে পারবে না। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে, রাজাকার পূত্র কয়েসকে চূড়ান্ত প্রতিরোধের।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.