Sylhet Today 24 PRINT

নিখোঁজের দেড় মাস পর নবীগঞ্জে গৃহবধূর কংকাল উদ্ধার, আটক ১

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি |  ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে নিখোঁজের দেড় মাস পর ধানক্ষেত থেকে সুজনা বেগম (২৯) নামে এক গৃহবধূর কংকাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের কইখাই হাওরের একটি ধানক্ষেত থেকে এ কংকালটি উদ্ধার করা হয়। কংকালের সাথে থাকা কাপড় দেখে নিহতের ভাই ও তার পরিবারের লোকজন কংকালটি সুজনার বলে সনাক্ত করে। সুজনা একই ইউনিয়নের ইলিমপুর গ্রামের তোলাফর উল্লার মেয়ে।

এঘটনায় কইখাই গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের পুত্র ও সুজনার কথিত প্রেমিক সাহিন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদেন জন্য আটক করেছে পুলিশ।

জানা যায়, তোলাফর উল্লার ছেলে ও মেয়ের মধ্য সুজনা বেগম ৩য়। চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৫টা ৪০মিনিটে তার খালার বাড়ী সৈয়দপুর দাওয়াতে যাবার পথে নিখোঁজ হয় সুজানা। নিখোঁজের পর আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পায়নি তার পরিবার। এ ব্যাপারে তোলাফর উল্লা একইদিন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় নিখোঁজের দেড় মাস পর ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কইখাই গ্রামের কইখাই হাওরে স্থানীয় লোকজন কংকালের কিছু হাড় ও কাপড় দেখে পুলিশে খবর দেন।

খবর পেয়ে নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী, ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক সামছুদ্দিন খাঁন একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে কংকালের হাড়, ওড়না ও সালোয়ার কামিজসহ পরনের কাপড় উদ্ধার করেন। এ সময় সুজনার পিতা তোলাফর উল্লাহসহ পরিবারের লোকজন ওড়না ও সালোয়ার কামিজ দেখে হাড় গুলো সুজনার বলে সনাক্ত করেন।

পরে সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুজনার কথিত প্রেমিক কইখাই গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন এর পুত্র সাহিন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন।

এ ব্যাপারে নিহত সুজনার ভাই সাহিনুর রহমান জানান, তার বোন সুজনার সাথে কইখাই গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন এর পুত্র সাহিন মিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।

পরবর্তীতে সুজনাকে মোস্তফাপুর গ্রামের জয় হোসেনের সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের কিছু দিন পর জয় হোসেন সৌদি আরব চলে যান। তারপর আর দেশে ফিরেননি।

নিহত সুজনার ৪ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। এদিকে সুজনার বিয়ের পর প্রেমিক সাহিন ও বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের পরও দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। এ নিয়ে কয়েকবার গ্রামে শালিস বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু তাদেরকে এ পথ থেকে ফেরানো যায়নি। এমতাবস্থায় ৩১ অক্টোবর সুজনা নিখোঁজ হন।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী জানান, সুজনা নিখোঁজের পর তার পরিবারের দায়েরকৃত জিডি ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাহিনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে বিস্তারিত পরে জানা যাবে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.