Sylhet Today 24 PRINT

নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে রাগীব রাবেয়া মেডিকেলে মোমবাতি প্রজ্বলন

ইউএস-বাংলা ট্র্যাজেডি

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ১২ মার্চ, ২০১৯

নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় নিহত জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১২জন নেপালি শিক্ষার্থীর স্মৃতিচারণ ও তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোমবাতি প্রজ্বলন করেছে মেডিকেল কলেজটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় আলোক প্রজ্বলনের এ কর্মসূচি পালন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। মোমবাতি প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে হাসপাতালের পরিচালক মো. তারেক আজাদ, উপাধ্যক্ষ একেএম দাউদ ছাড়াও সকল বিভাগের প্রধানগণ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

২০১৮ সালের ১২ মার্চ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ১২ জন ছিলেন সিলেটের জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

তারা হলেন, সঞ্জয় পৌডেল, সঞ্জয়া মহারজন, নেগা মহারজন, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্ণিমা লোহানি, শ্রেতা থাপা, মিলি মহারজন, শর্মা শ্রেষ্ঠ, আলজিরা বারাল, চুরু বারাল, আশ্রা শখিয়া ও প্রিন্সি ধামী।

এদিকে দুর্ঘটনায় নিহত জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১২জন নেপালি শিক্ষার্থীকে সারাদিনই নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্মরণ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

সকালে ১০টায় কলেজ প্রাঙ্গণে তাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে ১১টায় কলেজের মূল অডিটোরিয়ামে একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

এ স্মরণসভায় মেডিকেল কলেজে নিহত শিক্ষার্থীদের পাঁচ বছরের নানা ছবি ও ভিডিও দিয়ে নির্মিতে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। নিহত শিক্ষার্থীদের সম্মানে হাসপাতালে চিকিৎসারত সকল শিক্ষার্থীকে কলেজের পক্ষ থেকে ফল, মিষ্টি ও পানীয় প্রদান করা হয় বলে জানিয়েছেন কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবেদ হোসেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৭১ জন আরোহী নিয়ে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-২১১ ফ্লাইটটি। নেপালে পৌঁছানোর পর স্থানীয় সময় ২টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ৫ মিনিট) বোম্বাডিয়া কোম্পানির তৈরি ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০ মডেলের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানের যাত্রী ছিলেন সিলেটের জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১৩ নেপালি শিক্ষার্থী। রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ থেকে প্রাপ্ত তালিকা ও ইউএস-বাংলার প্রকাশিত নামের তালিকা অনুযায়ী রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের সেসব শিক্ষার্থীরা সেদিন বিমানের যাত্রী হিসেবে ছিলেন তারা হলেন, সঞ্জয় পৌডেল, সঞ্জয়া মহারজন, নেগা মহারজন, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্ণিমা লোহানি, শ্রেতা থাপা, মিলি মহারজন, শর্মা শ্রেষ্ঠ, আলজিরা বারাল, চুরু বারাল, সামিনা বেনজারখার, আশ্রা শখিয়া ও প্রিন্সি ধামী।

এদিকে জীবিত যাত্রীদের তালিকা থেকে ২ জন শিক্ষার্থী জীবিত থাকার বিষয়ে সেদিন নিশ্চিত হওয়া যায়। তারা হলেন, সামিনা বেনজারখার ও প্রিন্সি ধামী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রিন্সি ধামীও। এতে করে নেপালে সেদিনের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মারা যায় ১২ শিক্ষার্থী।

জীবিত শিক্ষার্থী সামিনা বেনজারখারের ব্যাপারে কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবেদ হোসেন জানান, এ বিমান দুর্ঘটনায় বেচে থাকা নেপালি শিক্ষার্থী সামিনা বাংলাদেশের ফিরে না আসায় তার কাগজপত্রগুলো সেখানে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সে সেখানেই ইন্টার্নিশিপ করছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.