Sylhet Today 24 PRINT

বানিয়াচংয়ে সারাদিন লোডশেডিং, মাস শেষে মোটা অংকের বিল

বানিয়াচংয়ে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী

বানিয়াচং প্রতিনিধি |  ০৯ মে, ২০১৯

বানিয়াচংয়ে থেমে নেই পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। রমজানে মাসে যেন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে লোডশেডিং। তারাবীর নামাজের সময়, সেহরী ও ইফতারের সময় প্রতিনিয়ত চলছে লোডশেডিং। টেকিনিক্যাল সমস্যা, ওভারলোড ও লো-ভোল্টেজ ছাড়াও রয়েছে ঘনঘন ট্রিপ ও সোর্স লাইন রক্ষণা-বেক্ষণের কাজ। শুধু তাই নয়, আকাশে মেঘ জমতে দেখলেই বা বিদ্যুতের তাঁরে বৃষ্টির ফোটা পড়লেই বিদ্যুৎ চলে যায়। আবার বিদ্যুৎ থাক বা না থাক মাস শেষে মোটা অংকের বিদ্যুৎ বিল ধরিতে দিতে ভুল করেনা কর্তৃপক্ষ। অফিসের দেয়া অভিযোগ নাম্বারও সবসময় ব্যস্ত থাকে। ফোনে বা সরাসরি অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয় না। বিদ্যুৎ বিভাগের এই উদাসীনতার কারণে উপজেলাবাসীকে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ।  

শায়েস্তাগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন বানিয়াচং উপজেলাতে ৭০ হাজারেও বেশি গ্রাহক পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে পড়েছেন মহা বিপাকে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং যেন রুটিনে পরিণত হয়েছে। তারাবী, সেহরী ও ইফতারের সময় ছাড়াও প্রতিদিন সন্ধ্যায়, দুপুরে এবং গভীর বা ভোর রাতে চলছে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া। এমনও হয় ভোর রাতে বিদ্যুৎ চলে যায় এবং পরবর্তীতে সকালের দিকে বা তার পরও বিদ্যুতের দেখা মিলে। বিদ্যুতের এই অবস্থায় বানিয়াচংয়ে ব্যবসা বাণিজ্যে মান্দাভা নেমেছে। অফিসের দেয়া অভিযোগ নাম্বারে অভিযোগ জানালেও কোনো ফল পাওয়া যায়না। সবসময় ই ব্যস্ত থাকে এই নাম্বার। বিদ্যুৎ বিভাগের এই উদাসীনতার কারণে উপজেলাবাসীকে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লোডশেডিংয়ের ফলে।

বানিয়াচংয়ের দক্ষিন যাত্রাপাশা আক্কাস মিয়া বলেন, একতো গরম তার উপড় রমজান মাস, তার উপড় পল্লী বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং। আমাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উফেছে। বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিলেই সেই পুরনো ৩৩ কেভি লাইনের দোহাই দেয়া হয়। মসজিদে আজান দেয়ার সময় আজানের মধ্যেই চলে যায় বিদ্যুৎ। এনিয়ে স্থানীয় মুসল্লিদের মাঝেও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বানিয়াচংয়ের দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিনা কারণে বন্ধ রেখে উত্তরাঞ্চলে ঠিকই রাখা হয় বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বরাবরই বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলের গ্রাহকরা। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে এর ব্যাতিক্রম নেই। পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মারাতœক বিঘœ ঘটছে।

বানিয়াচংয়ের বড়বাজার এলাকার সজিব মিয়া বলেন, সারা দিন বিদ্যুৎ থাকে না কিন্তু মাস শেষে এত বিল কিভাবে আসে আমরা বুঝি না। আমারা গ্রামের মানুষ। বেশি বুঝি না কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকলে ঘরের ফ্যান, লাইট ও চলবে না এটা বুঝি। তবে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কেন বুঝে না সারা মাস লোডশেডিংয়ের পর বিল কম পাঠানো লাগে।   

এই লোডশেডিংয়ের ফলে অফিসপাড়ার কর্মকর্তা কর্মচারীদের জরুরী কর্মকান্ড করতে গিয়ে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। পাশাপাশি বানিয়াচংয়ে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ প্রেরণে দারুণ ভাবে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন জানান,নরমালি এখন কোন লোডশেডিং নাই। আর এই উপজেলাতে বিদ্যুতের চাহিদা নাই পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ রয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.