Sylhet Today 24 PRINT

ভাতিজিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে চাচা আটক

কুলাউড়া প্রতিনিধি |  ১৪ মে, ২০১৯

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় কলেজ পড়ুয়া ভাতিজিকে (১৯) ধর্ষণ করার চেষ্টার অভিযোগে চাচা মখলিছুর রহমান (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৩ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়ন এলাকায় মখলিছুরের নিজ বাড়ি থেকে কুলাউড়া থানার উপ পরিদর্শক নুর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে।

এর আগে সোমবার দিনে ওই তরুণী নিজে বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় ধর্ষণ চেষ্টার একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার শিকার ওই তরুণী উপজেলার স্থানীয় একটি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তরুণীর পিতা ও তাঁর চাচা মখলিছুর রহমান পাঁচ ভাই। মখলিছুর ও তাঁর ভাইয়েরা একই বিল্ডিংয়ে আলাদা ঘরে বসবাস করে আসছেন। ওই তরুণীর পিতা স্ত্রী সন্তানসহ মখলিছুরের পাশাপাশি ঘরে বাস করছেন। দুই বছর আগে মখলিছুর রহমান প্রবাস থেকে ফিরে বিয়ে করেন এবং তাদের একটি শিশু সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকে সে দেশেই অবস্থান করছে।

এদিকে চাচা হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত ধরে সময় সুযোগে আদর করার অজুহাতে নানা কৌশলে মখলিছুর তার ভাতিজিকে (ওই তরুণীকে) যৌন নিপীড়ন করতো। লজ্জায় তরুণী বিষয়টি কাউকে জানায়নি। মখলিছুরের স্ত্রী বিষয়টি টের পান এবং এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটিও হতো।

গত ২৮ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে ওই তরুণীর বাবা কৃষি কাজে এবং মা ঘরের থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পুকুরে যান। ওই সময় একা ঘরে তরুণী পড়ালেখা করছিলো। এই সুযোগে অভিযুক্ত চাচা মখলিছুর তরুণীর রুমে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই তরুণীর চিৎকার শুরু করে। তাঁর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন চলে এলে মখলিছুর পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা করা হয়। পরে এক পর্যায়ে ওই তরুণী নিজে বাদি হয়ে গত সোমবার থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সে দীর্ঘদিন যাবত কৌশলে যৌন নিপীড়ন করে আসছিলো। ধর্ষণ চেষ্টায় মামলার পরপরই আসামীকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.