Sylhet Today 24 PRINT

জগন্নাথপুরের প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি |  ০৭ জুন, ২০১৯

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় হায়দর আমিন (৪৬) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৩ সহোদর।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার আশারকান্দি ইউপির নয়া দাওরাই গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত হায়দর আমিন দাওরাই পশ্চিমপাড়া গ্রামের আখলুছ মিয়ার ছেলে।

আহতরা হলেন, আখলুছ মিয়ার আরো তিন ছেলে নুরুল আমিন টুনু (৪৮), বদরুল আমিন (৩৫) ও ফয়ছল আমিন (২৫)। এদিকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নয়া দাওরাই গ্রামের ওয়ারিশ মিয়ার স্ত্রী সিতারা বেগম (৪৮) নামের এক নারীকে পুলিশ আটক করেছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিতারা বেগমসহ তার স্বামী ওয়ারিশ মিয়া গংরা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত হায়দর আমিনাদের বাড়ির পানি নিষ্কাশনকে কেন্দ্র করে গত ২ দিন পূর্বে একই গ্রামের পাশের বাড়ির গফুর, ফখরুল ইসলাম, ওয়ারিশদের সাথে হায়দরের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে ঝগড়া বাধে। পরে বিষয়টি স্থানীয় সালিশ ব্যক্তিরা সালিশের মাধ্যমে সমাধান করার পক্রিয়া নেন।

এরই মধ্যে প্রতিপক্ষ গফুর, ফখরুল ইসলাম ও ওয়ারিশরা তাদের আত্মীয় স্বজনসহ অন্য সহযোগীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে হায়দরদের বাড়িতে গিয়ে তাদের চার ভাইয়ের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হালদারসহ তারা চার সহোদর আহত হন। মুমূর্ষু অবস্থায় হায়দারকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হায়দার আমিন মারা যান।

হায়দার আমিনের মৃত্যুর পর পর বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল নয়া দাওরাই গ্রামে অভিযান চালিয়ে হত্যার সাথে জড়িত ওয়ারিশ মিয়ার স্ত্রী সিতারা বেগমকে (৪৮) আটক করে। এ সময় ওয়ারিশ মিয়ার বসত ঘর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বেশ কিছু দেশীও অস্ত্র উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে হত্যাকারীরা পলাতক রয়েছে।

নিহত হায়দার আমিনের চাচা আহার মিয়া বলেন, বিনা দোষে আমার অসুস্থ ভাতিজা হায়দারকে বাড়িতে এসে হামলা চালিয়ে হত্যা করে গফুরসহ তার সহযোগীরা। হায়দরের মাথায় বড় মোর দিয়ে গফুর নিজেই সজোরে বাড়ি দিলে সাথে সাথে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে হায়দার পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সে মারা যায়। আমার ভাতিজার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি।

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক মহিলাকে আটক করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.