Sylhet Today 24 PRINT

বানিয়াচংয়ে সরকারি বরাদ্দে ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণ!

বানিয়াচং প্রতিনিধি |  ১২ জুন, ২০১৯

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সরকারি বরাদ্দে নিজের বাড়ির ভেতরে পাকা রাস্তা করার অভিযোগ ওঠেছে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য মনির হুসেন খানের বিরুদ্ধে। তিনি ২নং ওয়ার্ডের সদস্য।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিনি জনস্বার্থে নয়, তার একান্তই ব্যক্তিস্বার্থে পাকা রাস্তা করেছেন।

স্থানীয়রা বলেছেন, মনির খানের পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কেউ রাস্তায় চলাচল করেন না। নিয়মবহির্ভূতভাবে নিজের বাড়ির ভেতরে পাকা রাস্তা করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মহল্লার জনগণ।        

জানা গেছে, জেলা পরিষদ সদস্য মনির হুসেন খানের বাড়ি বানিয়াচং সদর তোপখানা মহল্লায়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের ৪ লাখ টাকা বরাদ্দে বাড়ির ভেতরে পাকা রাস্তা নির্মাণ করেন তিনি। সম্প্রতি ১৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্থ আরসিসি ঢালাই রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মনির খানের বাড়ির পূর্ব ও পশ্চিমের অংশে পাকা দেওয়ালের বাইরে পাঁচ পরিবারের বসবাস। তারা চলাচল করেন এলজিইডির রাস্তায়। দক্ষিণে মনির খানের বাড়ি ও উত্তরে এলজিইডির পিচ রাস্তা রয়েছে। মনির খানের বাড়ির আঙ্গিনার ভেতরে পড়েছে পাকা রাস্তা। এই রাস্তায় শুধু তার পরিবারই চলাচল করেন। অন্য কেউ চলাচল করেন না। উদ্বোধন ফলকে লেখা, 'ফারুক মিয়ার বাড়ির সামন থেকে তালেব হোসেন খানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা।'
স্থানীয়রা বলেছেন, মনির খানের পিতা তালেব হোসেন খান। রাস্তার সামনে ফারুক নামে কারো বাড়ি নেই। এখানেও মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা প্রথমে জেনেছেন মনির খানের ব্যক্তিগত অর্থে রাস্তা পাকা করা হচ্ছে। পরে উদ্বোধন ফলক স্থাপনে জানতে পারেন, এটি সরকারি প্রকল্প।

এলাকাবাসী বলেন, ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এখানে পাকা রাস্তা করার প্রয়োজন ছিল না। বাড়িকে দৃষ্টিনন্দন করতে পাকা রাস্তা করেছেন। এতটুকু রাস্তা নির্মাণে চার লাখ টাকা বরাদ্দ। এটিও চরম দুর্নীতি।

এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদ সদস্য মনির হোসেন খান বলেন, 'ব্যক্তিস্বার্থে নয়, জনকল্যাণেই রাস্তা পাকা করা হয়েছে। এই রাস্তায় কেবল আমার পরিবারই নয়, আরও ৪/৫ টি পরিবার চলাচল করে থাকেন।'

জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নুরুল ইসলাম বলেন, আগের জন বদলির কারণে অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়েছি মাত্র কদিন হল। বিষয়টি জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখবো।  

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী বলেন, জেলা পরিষদ জনস্বার্থে গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে থাকে। তবে একেবারেই পারসোনালি (ব্যক্তিগত) উন্নয়ন করার কোনো বিধান নেই। কেউ যদি করে থাকে লিখিত পেলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.