Sylhet Today 24 PRINT

কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে বিশ্বনাথে গুঞ্জন

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি |  ১৭ জুন, ২০১৯

সিলেটের বিশ্বনাথে আমিনা বেগম (১৪) নামের এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। সে উপজেলার সাতপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। ৮ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে আমিনা সবার ছোট। হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে যেমন রহস্য তেমনি এলাকায় নানা গুঞ্জনও রয়েছে।

অভিযোগ ওঠেছে, প্রেমের কারণেই বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।

তবে গ্রামের লোকজন প্রেম ও বিষপানের বিষয় জানালেও আমিনার পরিবারের লোকজন বিষপানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তারাও ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যও দিয়েছেন।

৮ জুন শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের সমছুদ্দিনের মেঝো ছেলে শফিক মিয়ার কাছে আমিনার বড় বোন সেলিনার বিয়ে দেওয়া হয়। আত্মীয়তার সুবাদে শফিকের ছোট ভাই রশিক আলীর সঙ্গে আমিনার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ নিয়ে দুই পরিবারেই অশান্তি বিরাজ করে। পারিবারিকভাবে বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় আমিনার ওপর চরম নির্যাতন করা হয়।

অবশেষে ৭ জুন শুক্রবার বিকেলে প্রেমিক তালতো ভাই রশিক আলীর উপস্থিতিতে দুই পরিবারের লোকজন মিলে বৈঠক করা হয়। ওই বৈঠকেও বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় পরদিন শনিবার রাতে রহস্যজনকভাবে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথার কথা বলে আমিনাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান তার মা সুনারুন বেগম, ভাই আবুল হাসনাত ও দুলাভাই শফিক মিয়া।

হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকের সন্দেহ হলে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডাকা হয়। এ সময় লাশ রেখেই তারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান আমির আলীর মাধ্যমে থানায় খবর দিলে থানার এসআই মিজানুর রহমান হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার রাতে আমিনার লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়।

এ ঘটনায় ৯ জুন রোববার রাতে আমিনার ভাই আব্দুস সালাম থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং ১৩/১৯ইং)।

মা সুনারুন বেগম, ভাই আব্দুস সালাম, আবুল হাসনাত তাদের বাড়িতে বৈঠক, প্রেম ও বিষপানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি ওসমানী হাসপাতালের ডাক্তার না বুঝে অকারণে হয়রানি করতে লাশের ময়নাতদন্ত করিয়েছেন।

আমিনার বড় বোন সেলিনা বেগম, দুলাভাই শফিক মিয়া ও তালতো ভাই আসকির আলী বৈঠকের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, রশিক আলীসহ সকলেই আমিনাদের বাড়িতে দাওয়াতে গিয়েছিলেন।

দৌলতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমির আলী বলেন, মেয়ের এক ভাই তাকে বিষপানের বিষয় জানানোর পর তিনি ওসমানী হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছেন।

বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, এ ধরনের একটি ঘটনার ময়নাতদন্তও করা হয়েছে যা তিনি জেনেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে কিছুই বলতে পারবেন না বলে জানান তিনি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.