Sylhet Today 24 PRINT

‘শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে’

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি |  ২৫ জুন, ২০১৯

ভারতের দিল্লীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি ব্যাপক উজ্জল হয়েছে। ভারতের সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক অনেকটা গভীর থেকে গভীরতায় বৃদ্ধি পেয়েছে।বাংলাদেশ-কে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে আমাদের বিদেশ মিশনগুলোর কর্মকর্তাগণ আন্তরিক ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ-ভারতের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের আসাম সহ সেভেন সিস্টারস রাজ্যগুলোর সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে দু-দেশের সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

গত সোমবার দুপুর ১টায় তিনি তামাবিল শুল্কস্থলবন্দর, ইমিগ্রেশন কেন্দ্র এবং মেঘালয়ের ডাউকী ইমিগ্রেশন কেন্দ্র পরির্দশন করেন। এ সময় তিনি তামাবিল চুনা পাথর, পাথর ও কয়লা আমদানীকারুক গ্রুপ এবং   তাবামিল ইমিগ্রেশন ও কাস্টাম‘স কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় করেন।

হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী আরো বলেন, ভারত থেকে পাথর ও কয়লা আমদানী কমানো উচিত। দেশীয় শিল্পের প্রতি আমাদের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। ভারতে বাংলাদেশের অনেক পণ্যের চাহিদা রয়েছে, তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে আসামসহ সেভেন সিস্টার‘স রাজ্যগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী পূণ্য রপ্তানি করার বিষয়ে তিনি ব্যবসায়ীগণকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। সীমান্ত সু-রক্ষায় বিজিবি-বিএসএফ আন্তরিক ভাবে কাজ করছে। অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্য রোধ করতে উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সর্তক রয়েছে। সরকার তামাবিল স্থলবন্দর এলাকার উন্নয়নে অনেক অবকাঠামোগত সুধিবা তৈরী করে দিয়েছে। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে এসব স্থল বন্দরের স্থাপনাগুলো স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাজে লাগাতে হবে। তামাবিল ইমিগ্রেশন কেন্দ্র ও কাস্টাম‘স-এর অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মেঘালয়ের ডাউকী ইমিগ্রেশন কেন্দ্র সংস্কার ও বাংলাদেশী ভ্রমনকারীদের ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত কাজে বিলম্বের হওয়ার বিষয়ে তিনি মেঘালয় সরকারের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানান। আসামের গুয়াহাটিতে আমাদের সহকারী হাই কমিশনার অফিস চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ভারত সরকার বিভিন্ন ভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ভারতের সেভেন সিস্টার‘স রাজ্যের মানুষের সাথে সু-সর্ম্পক ও পর্যটকদের সুবিধায় ভারতের বে- সরকারী বিমান পরিবহন সংস্থা স্পাইসজেট আসামের গুয়াহাটি-ঢাকা সরাসরি বিমান ফ্লাইট জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে চালু করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে ভারতে ব্যাপক পর্যটক ভ্রমন করায় সিলেট-গুয়াহাটি-শিলং সরাসরি বিমান ফ্লাইট চালুর বিষয়ে দু-দেশের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করে সপ্তাহে অন্তত দু‘টি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে সরকারের চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।বাংলাদেশী নাগরিকদের ভারতীয় ভিসা আরো সহজ করার বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।

তিনি জানান, ভারতীয় নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে ভ্রমনে ভিসা সহজ করা হয়েছে। হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজেম আলী তামাবিল ইমিগ্রেশন কেন্দ্র ও কাস্টম‘স অফিসের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার বিষয়ে সরকারের সাথে আলোচনা করার আশ্বাস দেন।

দুপুর ১টায় তামাবিল স্থলবন্দরে এসে পৌছিলে হাই কমিশনার ও কমিশন কর্মকর্তাগণ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তামাবিল কাস্টম‘স ও তামাবিল চুনা পাথর, পাথর ও কয়লা আমদানীকারুক গ্রুপের নেতৃবৃন্দ। পরে তিনি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সংলগ্ন বধ্যভুমি পরির্দশন করেন ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গুয়াহাটিস্থ বাংলাদেশের সহকারী  হাই কমিশনের ড. শাহ মহম্মদ তানভীর মনসুর, দিল্লীস্থ হাই কমিশন অফিসের প্রথম সচিব শাহেদ আজিজ, কাস্টম‘স, এক্সচেঞ্জ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের যুগ্ম কমিশনার মিনহাজ উদ্দিন তপন, তামাবিল শুল্ক ষ্টেশনের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ ছৈয়দুল আলম, মেঘালয় বিএসএফ‘র ৩০ কোম্পানীর সিও লে: কর্নেল সাইফুল ইসলাম খান, ভারতের ডাউকী শুল্কষ্টেশনের সুপার দেবাশীষ মোদক, বিজিবি‘র এডি মিজানুর রহমান, তামাবিল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের এডি পার্থ ঘোষ, তামাবিল চুনা পাথর, পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী, সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মিন্টু, আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার হোসেন সেদু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু, অর্থ সম্পাদক আব্দুল আহাদ, তামাবিল ইমিগ্রেশন (পুলিশ কেন্দ্র) ইনচার্জ এসআই সৈয়দ মওদুদ আহমদ রুমী।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.